হলুদ ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে সংসদ ভবন। —ফাইল চিত্র।
সংসদে ধোঁয়া কাণ্ডের পরে সংসদ ভবনে দর্শক হিসেবে একাধিক বার পা রেখেছেন এমন ‘ভিজ়িটর’ বা দর্শকদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করল দিল্লি পুলিশ।
সংসদে নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সদ্য গঠিত কমিটি গত শনিবারই জরুরি বৈঠকে বসে। কমিটির মাথায় সিআরপি-র ডিরেক্টর জেনারেল অনীশদয়াল সিংহ। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে সংসদের দায়িত্বে থাকা মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক এবং দিল্লি পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ইন্টেলিজেন্স উইং) বেশ কয়েক জন শীর্য কর্তা প্রস্তাব দিয়েছেন, দর্শক হিসেবে সংসদে একাধিক বার প্রবেশ করা ব্যক্তির তালিকা তৈরি করে তাদের নাম-ঠিকানা ও অন্য তথ্য জোগাড় করাই এখন প্রাথমিক কাজ। কারণ, তালিকা মিলিয়ে দেখা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ডি মনোরঞ্জন শুধু নতুন সংসদ ভবন নয়, পুরনো ভবনেও দর্শক হিসেবে একাধিক বার প্রবেশ করেছিলেন। যার অধিকাংশ ভিজ়িটর পাস সে জোগাড় করেছিল মাইসুরুর বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার কাছ থেকে। তালিকা তৈরির প্রথম ধাপেই বেশ কয়েক জনকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও দাবি ওই কমিটির এক কর্তার। খোঁজখবর শুরু হয়েছে সেই ‘সন্দেহভাজন’দের ঠিকানা, কর্মস্থল, এমনকি পরিবার নিয়েও। কমিটির এক কর্তা বলেন, “সন্দেহের বাইরে কাউকেই রাখা হচ্ছে না। তবে, মনে রাখতে হবে ওই দর্শকদের সকলেই যে অভিযুক্ত এমন ভাবারও কারণ নেই।”
নামের তালিকা তৈরির পাশাপাশি, বৈঠকে এ-ও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, এ বার থেকে দর্শক হিসেবে সংসদে প্রবেশ করা সকলের সারা শরীরে ‘স্ক্যান’ (ফুল বডি স্ক্যান) করা জরুরি। এ যাবৎ যা হত না। কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই নিরাপত্তার ফাঁকফোঁকর চিহ্নিত করে এবং তা নিশ্ছিদ্র করার উপায় প্রস্তাব আকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠাতে হবে।
তদন্তের পাশাপাশি সংসদে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সচিব (নিরাপত্তা) পদ, যেটি গত নভেম্বর থেকে খালি, সেই পদ পূরণেও তৎপর কেন্দ্র। ওই পদের জন্য আইজি পদমর্যাদার আইপিএস অফিসারের নাম চেয়ে রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। চিঠিতে বলা হয়েছে, সংসদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত পদের জন্য আইজি পদমর্যাদার আমলার প্রয়োজন। যোগ্য ও কেন্দ্রে কাজ করতে ইচ্ছুক এমন অফিসারের নাম পাঠানোর জন্য রাজ্যগুলিকে অনুরোধ করছে কেন্দ্র।