Cyber Crime

ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে পেনশন প্রাপকদের টাকা আত্মসাৎ! চার প্রতারক পুলিশের জালে

কেন্দ্রীয় সরকারেরে ‘জীবন প্রমাণ’ প্রকল্পের নাম করে লোক ঠকাতেন এই চার প্রতারক। তাঁরা ওই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের একাধিক ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে পেনশন প্রাপকের কাছ থেকে টাকা নিতেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৪২
Share:

সাইবার প্রতারণার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। প্রতীকী ছবি।

ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে লোক ঠকানোর অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের একটি নকল ওয়েবসাইট খুলে তাঁরা গ্রাহকদের ঠকাতেন। হাতিয়ে নিতেন হাজার হাজার টাকা। মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে পেনশন প্রাপকরাই ছিলেন এই প্রতারকদের শিকার।

Advertisement

দিল্লি পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখা বুধবার জানিয়েছে, তারা প্রতারণার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা হলেন ৪৭ বছরের অমিত খোসা, ২৭ বছরের কনভ কপূর। তাঁদের সঙ্গী হয়েছিলেন বিজয় সরকার এবং শঙ্কর মণ্ডল নামে আরও দু’জন। বিজয় এবং শঙ্কর হায়দরাবাদের বাসিন্দা।

অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারেরে ‘জীবন প্রমাণ’ প্রকল্পের নাম করে লোক ঠকাতেন এই চার প্রতারক। তাঁরা ওই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের একাধিক ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলেছিলেন। প্রত্যেক পেনশন প্রাপকের কাছ থেকে তাঁরা এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হওয়ার জন্য ১৯৯ টাকা করে নিতেন।

Advertisement

সাইবার অপরাধের খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারীরা এই চার জনের প্রতারণাচক্রের সন্ধান পান। তাঁদের নাম, ব্যাঙ্কের বিস্তারিত তথ্য, টাকার লেনদেন এবং ফোনের কল রেকর্ড জোগাড় করে পুলিশ। ভুয়ো ওয়েবসাইটগুলি সম্পর্কেও নানা তথ্য সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। তার পর নয়ডা থেকে গ্রেফতার করা হয় অমিত এবং কনভকে।

পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে জানতে পেরেছে, অন্তত ১৮০০ পেনশনপ্রাপক এই প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে টাকা খুইয়েছেন। দিল্লি পুলিশের সাইবার সেলের ডিসিপি প্রশান্ত গৌতম জানান, ন্যাশানাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারের তরফে তাঁদের কাছে অভিযোগ আসে, কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের ওয়েবসাইটের নকল করে কিছু ভুয়ো ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। তার মাধ্যমে পেনশন প্রাপকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এর পরেই তদন্ত শুরু হয়।

কেন্দ্রীয় সরকারের ‘জীবন প্রমাণ’ প্রকল্প শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে। এর মাধ্যমে সরকারি পেনশন প্রাপকেরা ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট পেতে পারেন। তা ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিসের কাজে ব্যবহার করা যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement