অভিযুক্তদের কাছ থেকে মাদক ছাড়াও হাওয়ালার সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
রাজধানী, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশে অভিযান চালিয়ে ১০৩ কেজির মাদক উদ্ধার করল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের আধিকারিকেরা। আন্তর্জাতিক বাজারে ওই বিপুল পরিমাণ মাদকের দাম ৮৫ কোটি টাকার বেশি বলে দাবি তাঁদের। মাদক পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মহিলা-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার অভিযুক্তদের কাছ থেকে মাদক ছাড়াও হাওয়ালার সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতেরা হলেন লখপত সিংহ, সুরেশ, প্রকাশ পুরি, দল চাঁদ, তসলিমা বেগম এবং রবি প্রকাশ। এঁদের মধ্যে লখপত, সুরেশ এবং প্রকাশ উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। দল চাঁদের বাড়ি উত্তরাখণ্ডে এবং তসলিমা বেগম থাকেন অসমে। অন্য দিকে, দিল্লির বাসিন্দা রবি। ধৃতেরা ২৪ থেকে ৪৩ বছর বয়সি। এঁদের কাছ থেকে ১০১ কেজির আফিম-সহ ২ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল পুলিশ কমিশনার (স্পেশাল সেল) এইচজিএ ধালিওয়াল সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘‘তল্লাশি অভিযানে লখপতের কাছ থেকে ৯৬.৩১ কোটি আফিম মিলেছে। ওগুলি ৬৮২টি চটের ব্যাগে নারকোলের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।’’
পুলিশের দাবি, পাচার চক্রের অন্যতম সদস্য হলেন প্রকাশ এবং দল চাঁদ। উত্তরপ্রদেশের বরেলীতে প্রকাশের বাড়ি থেকে হাওয়ালার সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্য দিকে, উত্তরাখণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দল চাঁদকে।
স্পেশাল পুলিশ কমিশনারের দাবি, ‘‘পুলিশি জেরায় লখপত স্বীকার করেছেন, গত ৫-৬ বছর ধরে মাদক পাচারে জড়িত তিনি। চাঁদের নির্দেশে ঝাড়খণ্ডের সরবরাহকারীর কাছ থেকে আফিম সংগ্রহ করতেন তিনি।’’ তাঁর আরও দাবি, দিল্লি ও তার আশপাশের অঞ্চল-সহ চণ্ডীগড় এবং হিমাচল প্রদেশে মাদক সরবরাহে জড়িত চাঁদ। হাওয়ালার মাধ্যমে মাদকের টাকা জোগাতেন প্রকাশ। অন্য দিকে, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে হেরোইন সরবরাহে জড়িত বলে অসমের বাসিন্দা তসলিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ। শকুর বস্তি রেলস্টেশনে রবির থেকে ওই মাদক সংগ্রহ করার সময় ধরা পড়ে যান তিনি। সে সময় তাঁর কাছ থেকে ২ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়েছে।