—প্রতীকী চিত্র।
বিয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে কুপিয়ে খুন করা হল বরকে। তাঁর বুকে এবং মুখে অন্তত ১৫ বার ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। বাড়ির সামনেই লুটিয়ে পড়ে যান যুবক। পরিবারের সদস্যেরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যুবকের বাবা ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ।
ঘটনাটি দক্ষিণ দিল্লির দেভলি এক্সটেনশন এলাকার। মৃত যুবকের নাম গৌরব সিঙ্ঘল (২৯)। বৃহস্পতিবার তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বাড়িতে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। এই পরিস্থিতিতে বুধবার গভীর রাতে বরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বাড়ির সামনে থেকে। পরিবারের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তাঁরা জানিয়েছেন, কে বা কারা এই খুন করল, সে বিষয়ে তাঁদের কোনও ধারণাই নেই। ঘটনায় গোটা পরিবার স্তম্ভিত।
পুলিশ পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মৃতের এক ভাই এবং অন্য এক আত্মীয়কে আটক করেছে। তবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় অন্যতম প্রধান সন্দেহভাজন মৃতের বাবা। তাঁকে ঘটনার পর থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, যুবকের সঙ্গে তাঁর বাবার সম্পর্ক খুব একটা ভাল ছিল না। এই পরিস্থিতিতে মৃতের বাবার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, খুনের কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে মূল অভিযুক্ত ধরা পড়লেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। মৃতদেহ ইতিমধ্যে দিল্লি এমস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। মৃতের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, পরিবারের কেউ এই কাজ করতে পারেন না। বাইরের কেউ যুবককে খুন করে থাকতে পারেন। তবে তারও নিশ্চিত কোনও কারণ বলতে পারেননি তাঁরা।
পরিবারের এক সদস্য জয়প্রকাশ সিঙ্ঘল বলেন, ‘‘কী থেকে কী হয়েছে, আমরা কিছু জানি না। রাতে বাড়ির সামনে ঢোল বাজছিল। পুলিশের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত।’’