অভিযোগ, বহু গরিব পড়ুয়ার নাম লটারির ড্রয়ে উঠলেও শেষমেশ তাদের বেসরকারি স্কুলে ভর্তি নেওয়া হয়নি। প্রতীকী ছবি।
রাজধানীর বেসরকারি স্কুলে ভর্তি নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের রায়ে স্বস্তি পেল আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির অসংখ্য প়ড়ুয়া। দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশ, গরিব ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে ভর্তি হতে গেলে ইচ্ছা মতো ফেরাতে পারবে না দিল্লির বেসরকারি স্কুলগুলি। এ সংক্রান্ত একটি মামলায় শুক্রবার দিল্লি সরকারের পক্ষেই রায় দিয়েছে আদালত।
স্কুলে ভর্তি নিয়ে শিক্ষা অধিদফতরের লটারির পর তালিকায় নাম থাকা আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির পড়ুয়া-সহ সমস্ত ছাত্রছাত্রীদেরই ভর্তি নিতে বাধ্য দিল্লির বেসরকারি স্কুলগুলি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই রায়ের পর সে পথ সুগম হল। আদালতের নির্দেশ আমান্য করলে বেসরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা বলেও জানিয়েছে হাই কোর্ট।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার অধিকার আইনের আওতায় বেসরকারি স্কুলগুলিতে ভর্তিতে সামাজিক এবং আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য মোট আসনের ২৫ শতাংশ সংরক্ষিত রয়েছে। বেসরকারি স্কুলগুলিতে ভর্তির জন্য কত আসন রয়েছে, সেই সংখ্যা প্রতি বছরই অধিদফতরকে জানান সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ। তার ভিত্তিতে আর্থিক ভাবে দুর্বল এবং সামাজিক সুযোগসুবিধা বঞ্চিত পড়ুয়াদের ভর্তির জন্য ২৫ শতাংশ আসন বরাদ্দ করা হয়। এর পর অনলাইনে ওই স্কুলগুলিতে ভর্তির আবেদনপত্র জমা নেয় অধিদফতর। এর পর চলে লটারির মাধ্যমে বাছাইপর্ব। তার পরে স্কুলে ভর্তি হতে পারে সমস্ত পড়ুয়ারা। যদিও গত কয়েক বছরের বেসরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে ভর্তি নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, জেনারেল আসন খালি থাকার কারণ দেখিয়ে গরিব পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে অস্বীকার করেছে বহু বেসরকারি স্কুল।
এই মামলায় দিল্লি সরকারের দাবি, এমনও দেখা গিয়েছে যে, ৩টি জেনারেল আসন ভর্তির পরে এক জন গরিব পড়ুয়াকে ভর্তি নিয়েছে বেসরকারি স্কুলগুলি। এর জেরে বহু গরিব পড়ুয়ার নাম লটারির ড্রয়ে উঠলেও শেষমেশ তাদের বেসরকারি স্কুলে ভর্তি নেওয়া হয়নি। দু’পক্ষের যুক্তি শোনার পর আদালতের নির্দেশ, লটারিতে নাম ওঠা গরিব পড়ুয়াদের ভর্তির ক্ষেত্রে আর ফেরাতে পারবে না বেসরকারি স্কুলগুলি। প্রাপ্ত আসনসংখ্যার ২৫ শতাংশ আসনে গরিব পড়ুয়াদের ভর্তি নিতেই হবে।