বিচারকের মানহানির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত দিল্লির ব্যক্তি। — প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সমাজমাধ্যমে ভিডিয়ো আপলোড করে বিচারকদের মানহানির অভিযোগ উঠেছিল দিল্লির বাসিন্দা উদয় পাল সিংহ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তা নিয়ে মামলা চলছিল দিল্লি হাই কোর্টে। সম্প্রতি ওই মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। হাই কোর্টের বিচারপতি সুরেশকুমার কাইত ও বিচারপতি মনোজ জৈনের বেঞ্চে ওই ব্যক্তি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তা গ্রহণ করে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে এক লাখ টাকার জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
এই মামলায় হাই কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে অভিযুক্ত জানিয়েছিলেন, আপলোড করা ভিডিয়োগুলির মাধ্যমে আদালত কিংবা বিচারকদের মানহানির কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর। একটি মামলার প্রেক্ষিতে তাঁর নিজস্ব মতামত জানানোর জন্যই তিনি ওই ভিডিয়ো আপলোড করেছিলেন বলে দাবি উদয়ের।
নির্দেশনামায় দিল্লি হাইকোর্ট উল্লেখ করেছে, “যে ব্যক্তি মানহানি করেছিলেন, তিনি আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। ২০২২ সালের ২৪ অগস্ট তিনি যে ভিডিয়ো আপলোড করেছিলেন, তার পরিণতি কী হতে পারে, সেটা তিনি অনুধাবন করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন।”
আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য তাঁকে জরিমানা বাবদ এক লাখ টাকা জমা করতে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। দোষী সাব্যস্ত হওয়া ওই ব্যক্তিও তাতে রাজি হয়েছেন। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে দুই সপ্তাহের মধ্যে জরিমানার এক লাখ টাকা আদালতের রেজিস্ট্রিতে জমা দিতে হবে।
জরিমানার এই অঙ্ক জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। জরিমানা থেকে প্রাপ্ত টাকার থেকে কোন কাজের জন্য কত অর্থ বরাদ্দ হবে, সেই বণ্টনের কথাও জানিয়ে দিয়েছে আদালত। দিল্লি হাই কোর্টের লিগাল সার্ভিস কমিটিকে (যেখানে থেকে দরিদ্রদের আইনি সহায়তা দেওয়া হয়), দরিদ্র ও বিশেষ ভাবে সক্ষম আইনজীবীদের তহবিলে, ভারতের বীর তহবিলে এবং নারী ও শিশু উন্নয়নের জন্য নির্মল ছায়ার তহবিলে ২৫ হাজার টাকা করে বণ্টন করা হবে।