গর্ভপাত করাতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় নাবালিকা। প্রতীকী ছবি।
ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে নাবালিকা। ২৫ সপ্তাহ গর্ভধারণের পর তাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল দিল্লি হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, গর্ভপাত না করলে নাবালিকা এমন এক পুরুষের সন্তানের জন্ম দিতে বাধ্য হবে, যিনি তাকে শারীরিক নিগ্রহ করেছেন। সেই সঙ্গে বেশ কিছু ব্যাখ্যাতীত জটিলতার সৃষ্টি হবে নাবালিকার জীবনে। তা এড়াতে গর্ভপাতই একমাত্র পথ।
গর্ভপাত করাতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই নাবালিকা। সে বিচারপতিকে জানিয়েছিল, সে স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করতে চায়, স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চায়। শুনানিতে দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মা জানান, শরীর সংক্রান্ত যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে নারীর। সে গর্ভধারণের বিষয়ে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
বিচারপতি শর্মা ২২ পৃষ্ঠার রায়ে নির্দেশ দিয়েছেন, নির্যাতিতা নাবালিকাকে তার বাড়ির কাছে সরকারি কোনও স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে। বিচারপ্রক্রিয়ায় নাবালিকার জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি।
ভবিষ্যতে ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর সময় গর্ভধারণের পরীক্ষাও করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি রায়ে জানিয়েছেন, যদি ভবিষ্যতে সাবালিকা কোনও ধর্ষিতা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন এবং গর্ভপাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তা হলে অবিলম্বে তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণ করার বন্দোবস্ত করতে হবে প্রশাসনকে। নাবালিকার ক্ষেত্রেও আদালতের সম্মতির জন্য যাতে সময় নষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
নির্যাতিতা বালিকা রাজমিস্ত্রির কন্যা। বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে বাড়িতে ঢুকে অভিযুক্ত তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ভয়ে সে কথা বাড়িতে কাউকে বলেনি নির্যাতিতা। পরে মা তার শরীরের পরিবর্তন দেখে মেডিক্যাল পরীক্ষা করান। তার পর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়।