দূূষণে জেরবার দিল্লি। ছবি: পিটিআই।
গত সপ্তাহে বৃষ্টির জেরে বায়ু দূষণ অনেকটাই কমেছিল দিল্লিতে। কিন্তু দীপাবলিতে যথেচ্ছ বাজি পুড়েছে। তার ফলে নতুন করে হওয়া বায়ুদূষণ কমাতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর কথাই ভাবছে দিল্লি সরকার। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে জোড়-বিজোড় নীতিও নতুন করে ফিরিয়ে আনার ভাবনা শুরু হয়েছে। এ দিকে, দিল্লির বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী ভোটমুখী রাজস্থানের জয়পুরে চলে গিয়েছেন। অতীতেও শীতের শুরুতে হওয়া দিল্লির বায়ু দূষণ থেকে রক্ষা পেতে অন্য শহরে গিয়েছিলেন প্রবীণ নেত্রী।
দীপাবলির পরেই নতুন করে দূষণের মাত্রা বেড়েছে দিল্লি-সহ রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চলে। আজ সকালে দিল্লির বিভিন্ন এলাকার বাতাসের গুণমানের গড় সূচক ছিল প্রায় চারশোর কাছাকাছি, পরিবেশবিদদের মতে যা ‘ভয়াবহ’। এই আবহে আজ দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই বলেন, ‘‘আগামী দু’-তিন দিন পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হবে। বায়ুপ্রবাহের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তা না হয়, সে ক্ষেত্রে দূষণ কমাতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর কথা ভাবা হয়েছে।’’ সূত্রের মতে, ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে আইআইটি-কানপুরের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সেরে রেখেছে দিল্লি সরকার। রাই বলেন, ‘‘গত সপ্তাহে যে বৃষ্টি হয়েছিল, তার জেরে দূষণ এক ধাক্কায় নীচে নেমে আসে। সেই কারণেই কৃত্রিম বৃষ্টির কথা ভাবা হচ্ছে।’’
বায়ু দূষণ কমাতে ফের যানবাহন নিয়ন্ত্রণে জোড়-বিজোড় নীতি চালু করা সম্ভব কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে দিল্লি সরকার। এর আগে ১৩ নভেম্বর থেকে দিল্লিতে জোড়-বিজোড় নীতি চালু করার কথা ভেবে রেখেছিল অরবিন্দ কেজরীওয়াল প্রশাসন। কিন্তু ওই নীতি প্রয়োগ করলে আদৌ পরিবেশে বাতাসের মান উন্নত হয় কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি সরকারের দাবি, দ্য এনার্জি অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ২০১৮ সালে একটি সমীক্ষায় জানিয়েছিল, বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম-২.৫)-র উপস্থিতির জন্য গাড়ির ধোঁয়া ৪০ শতাংশ দায়ী। ফুসফুসের জন্য ভীষণ ভাবে ক্ষতিকর ওই অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা। সূত্রের মতে, মূলত সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই দূষণ কমাতে জোড়-বিজোড় নীতি ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানাতে চলেছে দিল্লি সরকার।