দিল্লিতে স্নায়ুযুদ্ধ অব্যাহত, উকিলদের ধর্মঘটে তালাবন্ধ আদালত, বিদ্রোহে অস্বস্তিতে অমিত শাহ

গত কাল দিল্লি পুলিশের প্রায় ১১ ঘণ্টার ধর্নায় নড়েচড়ে বসেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। খোদ দিল্লিতে এ ভাবে পুলিশের বিদ্রোহে অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৫১
Share:

আইনজীবীদের ধর্মঘটে বন্ধ সাকেত জেলা আদালত। তালাবন্ধ গেট টপকাচ্ছেন এক যুবক। বুধবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

দিল্লিতে আইনজীবী ও আইনরক্ষকদের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ অব্যাহত রইল আজও। আজ সকালে দিল্লি পুলিশের শীর্ষ কর্তারা এক দিকে যেমন উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের সঙ্গে দেখা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন, অন্য দিকে তেমনই নিম্ন আদালতে কর্মবিরতি পালন করে প্রতিবাদ জানান আইনজীবীরা। আদালত ভবনে তালাও দিয়ে দেন তাঁরা। অবিলম্বে দোষী পুলিশ কর্মীদের শাস্তি না দিলে আত্মহত্যারও হুমকি দিয়েছেন বেশ কিছু আইনজীবী।

Advertisement

গত কাল দিল্লি পুলিশের প্রায় ১১ ঘণ্টার ধর্নায় নড়েচড়ে বসেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। খোদ দিল্লিতে এ ভাবে পুলিশের বিদ্রোহে অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও বিষয়টি নিয়ে আজও প্রকাশ্যে নীরব তিনি। আজ তাঁর টুইটের বিষয়বস্তু করতারপুর করিডর! তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে ইঙ্গিত, বড়সড় রদবল হতে পারে দিল্লি পুলিশের শীর্ষ স্তরে।

আজ সকালে বৈজলের সঙ্গে দেখা করে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়ক। সঙ্গী ছিলেন অন্য পদস্থ অফিসার ও দিল্লি সরকারের আমলারা। সূত্রের খবর, পুলিশ কর্মীদের দাবি মানার পাশাপাশি তাঁদের ক্ষোভ মেটাতে পদস্থ কর্তাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগ বাড়াতে বলা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: এই এক মাস কথা নয়, বলছে সাপুরের শিবির

আজ দিল্লি পুলিশের কর্মীরা কাজে যোগ দিলেও, নিম্ন আদালতে ধর্মঘট জারি রাখেন আইনজীবীরা। গত কাল হাইকোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার যে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র, তা আজ খারিজ করে দেয় আদালত। দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, ২ নভেম্বর যে ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দমনমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার নির্দেশ বজায় থাকছে। একই সঙ্গে গত কালের পুলিশ বিক্ষোভ অনৈতিক ওই যুক্তিতে দোষী পুলিশদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আজ এক আইনজীবী আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন সিপিকে।

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে বিরোধী আসনেই শরদের দল, চাপ বাড়ল উদ্ধবের

আজ সকাল থেকেই দিল্লির ছ’টি নিম্ন আদালতের সামনে উত্তেজনা ছিল প্রবল। সকালের দিকে রোহিণী, সাকেত বা পাটিয়ালা আদালতের মূল গেট পর্যন্ত খুলতে দেওয়া হয়নি। দোষীদের শাস্তির দাবিতে রোহিণী আদালত চত্বরে দুই আইনজীবী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। প্রথম জন গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাঁকে থামান সতীর্থরা। অন্য জনকে আদালতের ছাদ থেকে ঝাঁপানোর হুমকি দিতে দেখা যায়। তাঁকেও বুঝিয়ে নীচে নিয়ে আসা হয়।

বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মনন মিশ্রের আশ্বাস, ‘‘কাল থেকে খুলবে আদালত।’’ যদিও আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দোষী পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত আদালত খোলার কোনও প্রশ্নই নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement