দম্পতির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
কম্বলের নীচে ঘুমিয়ে থাকায় প্রাণে বাঁচল দু’বছরের এক শিশু। দুষ্কৃতীরা দম্পতিকে খুন করার পর তাঁদের সন্তানকে খুঁজছিল। কিন্তু এ ঘর, ও ঘর খুঁজে না পেয়ে শেষমেশ বাড়ি ছেড়ে চলে যায় তারা।
মঙ্গলবার দিল্লিতে বাড়িতে খুন হন শালু এবং সমীর আহুজা নামে এক দম্পতি। খুন করা হয় তাঁদের পরিচারিকা স্বপ্নাকেও। খুনের অভিযোগ উঠেছে দম্পতিরই পুরনো দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, ‘প্রতিশোধ’ নিতেই এই খুন। কিন্তু পরিচারিকাকে কেন খুন করা হল সেই বিষয় নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। কেনই বা দম্পতির দু’বছরের মেয়েকে রেয়াত করা হল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করতেই পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন একটি ঘরে কম্বলের নীচে এমন ভাবে ঘুমিয়ে ছিল ওই শিশু। ফলে নজর এড়িয়ে গিয়েছিল আততায়ীদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, শিশুটির খোঁজও চালিয়েছিল আততায়ীরা। কিন্তু সে ঘুমানোয় কারও নজরে পড়েনি। তবে পরিচারিকার খুনের ক্ষেত্রে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তিনি খুনের ঘটনা দেখে ফেলেছিলেন। প্রমাণ না রাখতেই পরিচারিকাকে শিকার বানানো হয়।
শালু এবং সমীর পূর্ব দিল্লির অশোক নগরের বাসিন্দা। আহুজা দম্পতি একটি বিউটি পার্লার চালান। দোতলা বাড়ির একতলায় পার্লার এবং উপরের তলায় আহুজা দম্পতি থাকতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে দুই কর্মীর সঙ্গে বচসা হয় আহুজা দম্পতির। দুই কর্মীর মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। সেটা জানতে পেরেছিলেন শালু। দু’জনের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তার পর দুই কর্মীকেই কাজ থেকে ছাঁটাই করে দেন আহুজা দম্পতি। আর এই ঘটনাই দুই কর্মীর মধ্যে প্রতিশোধের আগুন জ্বালিয়েছিল বলে ধারণা পুলিশের। সচিন এবং সুজিত নামে দুই সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে আহুজা দম্পতিকে খুন করার পরিকল্পনা করেন ওই দুই কর্মী।
সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে, মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ পাঁচ জন বাইকে করে আহুজাদের বাড়িতে ঢোকেন। তার পরই একতলা থেকে উদ্ধার হয় শালু এবং স্বপ্নার দেহ। তাঁধের গলার নলি কাটা ছিল। দোতলা থেকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় সমীরের।
এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুই মূল অভিযুক্ত-সহ তিন জন পলাতক।