ভাঙা সেতুর উপর হেলিকপ্টার থেকে চলছে নজরদারি। ছবি: রয়টার্স।
এখনও নিখোঁজ গুজরাতের মোরবীতে সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত সংস্থার মালিকরা। ঘটনার পর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ ওই সেতু সংস্কারের বরাত পাওয়া ‘ওরেভা’ সংস্থার মালিকদের ধরতে পারেনি। এর মধ্যে রয়েছেন ওরেভার ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়সুখভাই পটেলও। সেতু উদ্বোধনের দিন জয়সুখভাই প্রকাশ্যে দাবি করেছিলেন যে, আট থেকে দশ বছর এই সেতু অক্ষত অবস্থায় থাকবে। তবে সেতু ভেঙে পড়ার পর থেকেই তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ রয়েছেন ওই সংস্থার অন্য মালিকরাও।
একই সঙ্গে সেতু ভাঙার পর থেকেই ক্রমশই বাড়ছে জনগণের রোষ। সেতু ছেঁড়ার আসল কারণ সামনে আনার জন্য সঠিক তদন্তের দাবি উঠেছে দেশ জুড়ে। প্রশাসনের দিকে আঙুল ওঠার পর থেকে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। আর সেই আবহেই জেলার আইনজীবীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনায় অভিযুক্তদের হয়ে তাঁরা কোনও মামলা লড়বেন না।
এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই সংস্থায় কর্মরত ন’জনকে গ্রেফতার করেছে। প্রথমে ওরেভার দুই ম্যানেজার এবং সেতু মেরামতকারী দুই ঠিকাদারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে এক জন নিরাপত্তারক্ষী এবং কর্মী-সহ আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগও উঠেছে যে, সেতুর মেঝে সংস্কার করা হলেও দেড়শ বছরের পুরনো তারগুলো পাল্টানো হয়নি। সেতুর মেঝেতে চার-স্তরযুক্ত অ্যালুমিনিয়ামের চাদর চাপানো হয়েছিল। এর ফলে সেতুর ওজন আগের তুলনায় বেড়ে যায়। আর সেই কারণেই তারগুলি নতুন সেতুর ওজন নিতে পারেনি। দর্শনার্থীদের ভিড়ে মাচ্ছু নদীর উপরে ছিড়ে পড়ে যায় ওই সেতু।
পাশাপাশি ওরেভা সংস্থাকে সেতু সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হলেও তারা অখ্যাত এক ঠিকাদারকে কম টাকার বিনিময়ে এই কাজের বরাত দিয়ে দেয়।
প্রশাসনের দিকে এই আঙুলও উঠেছে যে, ওরেভা একটি ঘড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা সত্ত্বেও প্রশাসন কী ভাবে ওই সংস্থাকে সেতু সংস্কারের বরাত দিল?