Delhi Police

দিল্লির স্কুল চত্বরে বিস্ফোরণের নেপথ্যে কি খলিস্তানি যোগ? তদন্ত করে দেখছে দিল্লি পুলিশ

রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ দিল্লির রোহিণীর প্রশান্ত বিহার এলাকায় সিআরপিএফ স্কুলের সামনে বিস্ফোরণ হয়। সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে যায় স্কুলের আশপাশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৪ ১১:০২
Share:

বিস্ফোরণস্থলে চলছে তল্লাশি অভিযান। রবিবার দুপুরে। ছবি: পিটিআই।

দিল্লির রোহিণী এলাকার একটি স্কুল চত্বরে বিস্ফোরণ ঘটেছিল রবিবার। এ বার সেই বিস্ফোরণে সম্ভাব্য খলিস্তানি যোগ নিয়ে তদন্তে নামল দিল্লি পুলিশ। বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) এবং কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল। এর নেপথ্য খলিস্তানিদের হাত রয়েছে কি না, এ বার তা খতিয়ে দেখতে শুরু করল দিল্লি পুলিশও।

Advertisement

দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, এই বিস্ফোরণের মাধ্যমে দুষ্কৃতীরা প্রশাসনকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। প্রসঙ্গত, এই বিস্ফোরণের আগে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়়ে। সেখানে লেখা হয়, ভারতের ‘এজেন্টরা’ খলিস্তানপন্থীদের নিশানা করছেন। তার বদলা নিতেই এই হামলা। এই পোস্টের বিষয়েও তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ।

কানাডার বিচ্ছিন্নতাবাদী খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জর হত্যায় ভারতীয় ‘এজেন্টরা’ যুক্ত বলে দাবি করেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। নিজ্জর হত্যায় ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মার ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ করে সম্প্রতি কানাডা সরকারের তদন্তকারী সংস্থা। যদিও কানাডা সরকারের অভিযোগকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অযৌক্তিক’ বলে খারিজ করে দেয় ভারত। নয়াদিল্লির তরফে পাল্টা জানানো হয়, বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কানাডা সরকার নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ পেশ করেনি। অন্য দিকে, আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই আদালতে সম্প্রতি দাবি করেছে, ভারতে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষিত সংগঠন ‘শিখ ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)-এর নেতা গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুনকে হত্যার চেষ্টার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন ভারত সরকারের প্রাক্তন আধিকারিক বিকাশ যাদব এবং তাঁর সঙ্গী নিখিল গুপ্ত। বিকাশ আদতে ‘র’-এর এজেন্ট বলেও দাবি করে তাঁকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ঘোষণা করেছে এফবিআই। যদিও পন্নুনকাণ্ডেও জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে মোদী সরকার।

Advertisement

রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ রোহিণীর প্রশান্ত বিহার এলাকায় সিআরপিএফ স্কুলের সামনে বিস্ফোরণ হয়। সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে যায় স্কুলের আশপাশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিস্ফোরণের পর বিকট এক গন্ধে ভরে যায় এলাকা। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তবে এই বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েকটি দোকানের কাচ, রাস্তায় দাঁড় করানোর কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হননি।

তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রে জানা যায়, এ রকম ঘটনায় কঠিন এবং তরল পদার্থের মধ্যে উচ্চচাপ সৃষ্টি করে গ্যাসে পরিণত করা হয়। বিস্ফোরণের পর সেই গ্যাস দ্রুত গতিতে চার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। আর তার জেরে শক্তিশালী একটি কম্পন অনুভূত হয়। যা আশপাশের এলাকায় শব্দের চেয়ে দ্রুত গতিতে পৌঁছয়। ফলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হয়। আর সে কারণেই বিস্ফোরণের পর পরই বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। পাশাপাশি ওই স্কুলের দেওয়ালেও ফাটল ধরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement