অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ছবি: পিটিআই।
তিনি অসুস্থ এবং চিকিৎসাধীন। বেশ কয়েকটি ‘গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক পরীক্ষা’ করানো এখনও বাকি। তবু সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সময়সীমা মেনে আগামী রবিবার (২ জুন) তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। শুক্রবার কেজরী নিজেই জানিয়েছেন সে কথা।
সাংবাদিক বৈঠকে কেজরী বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট আমাকে ভোট প্রচারের জন্য ২১ দিন সময় দিয়েছে। পরশু আমি তিহাড় জেলে ফিরে যাব। আমি জানি না এই লোকেরা আমাকে কত দিন জেলে রাখবেন। কিন্তু আমার জীবনীশক্তি অনেক বেশি। আমি গর্বিত, আমি জেলে যাচ্ছি স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার লড়াইয়ে নেমে। আমার ওষুধ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি জানি না এই লোকগুলো কী চেয়েছিল, কেন তারা এমন করেছে?’’
বিবৃতিতে দিল্লির জল সমস্যার সমাধানে কেন্দ্রের সহযোগিতার পাশাপাশি দিল্লিবাসীর কাছে মুখ্যমন্ত্রী কেজরীর আবেদন, ‘‘দুঃখ পাবেন না। আমার পরিবারকে একটু দেখবেন। আমার বাবা-মা বৃদ্ধ এবং অসুস্থ। তাঁদের জন্য আমার দুশ্চিন্তা হয়।’’ প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ২১ দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত কেজরীর আইনজীবী দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে বৃহস্পতিবার স্থায়ী জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি।
তার আগে দিল্লির আবগারি লাইসেন্স বণ্টন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কেজরী অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে জরুরি শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ করে মঙ্গলবার সেই মামলা পাঠানো হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে। তিনিই ঠিক করবেন, কবে কেজরীর আবেদনের শুনানি হবে।
দিল্লির ‘আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে’ গত ২১ মার্চ কেজরী গ্রেফতার হয়েছিলেন। গত ১০ মে আপ প্রধানকে লোকসভা ভোটের প্রচারে সুযোগ দিতে ১ মে পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে শীর্ষ আদালত। অন্তর্বর্তী জামিনের শর্ত অনুযায়ী, ২ জুন তিহাড় কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। সুপ্রিম কোর্টে কেজরীর আর্জি, পিইটি-সিটি স্ক্যান-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক পরীক্ষার জন্য জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হোক। শুক্রবার কেজরী বলেন, ‘‘জেল হেফাজতে আমার ছ’কিলোগ্রাম ওজন কমে গিয়েছে।’’