গত ২২ ডিসেম্বর ইডির সমন পৌঁছেছিল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের কাছে। —ফাইল চিত্র।
ইডির সমনে এ বারও সাড়া দিলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ৩ জানুয়ারি তাঁকে ইডি দফতরে এসে দেখা করতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এই মর্মে গত ২২ ডিসেম্বর অরবিন্দকে সমন পাঠানো হয়েছিল। বুধবার ছিল সেই দিন। তবে সকালেই আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ জানিয়ে দেন, তিনি ইডি দফতরে আসছেন না। কেন আসছেন না, তার কারণও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন বলে ইডি সূত্রে খবর।
এই নিয়ে তৃতীয় বার ইডির সমন এড়ালেন কেজরীওয়াল। এর আগে যথাক্রমে ২ নভেম্বর এবং ২১ ডিসেম্বর ডেকে পাঠানো হয়েছিল আপ প্রধানকে। তিনি সেই তলবেও সাড়া দেননি। এর মধ্যে ২১ ডিসেম্বর অরবিন্দ তাঁর যোগাভ্যাসের অনুশীলনের জন্য যেতে পারেননি বলে জানিয়েছিলেন আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ। তার আগেও নভেম্বরে ইডির সমনে সাড়া না দিয়ে মধ্যপ্রদেশে প্রচারের কাজে চলে গিয়েছিলেন কেজরীওয়াল। আপের তরফে বলা হয়েছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, কেজরীওয়ালকে ইডি যে সমন পাঠাচ্ছে তা আইনত বৈধ নয় বলেও দাবি করেছিল আপ।
একই কথা বলেছিলেন আপপ্রধানও। বুধবারও ইডিকে দেওয়া জবাবে অরবিন্দ জানিয়েছেন, তাঁকে পাঠানো ইডির সমন বেআইনি। তদন্তে যে কোনও রকমের সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত। যে কোনও আইনত বৈধ সমনেরও জবাব দিতে রাজি। কিন্তু বেআইনি সমনগুলি সরাতে হবে।
কেজরীওয়ালকে দিল্লির আবগারি দুর্নীতির সূত্রে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। কিন্তু আপ জানিয়েছে, বার বার প্রশ্ন করা সত্ত্বেও ইডি একটি প্রশ্নের জবাব দেয়নি বা দিতে পারেনি যে, কোন মর্যাদায় বা কী হিসাবে কেজরীওয়ালকে ওই মামলায় এই সমন পাঠানো হচ্ছে। তাতেই সন্দেহ বাড়ছে এবং এই বিশ্বাসও দৃঢ় হচ্ছে যে রাজনৈতিক কারণেই এই সমন।
আপের তরফে বলা হয়েছে, আপপ্রধানকে সমন পাঠানো হচ্ছে আসলে গ্রেফতার করার জন্য। তাদের যুক্তি, ‘‘ঠিক লোকসভা নির্বাচনের আগেই কেন ওই সমন পাঠানো হচ্ছে? তার কারণ ওরা চায় না, উনি নির্বাচনের প্রচার করুন। কেজরীওয়ালকে থামাতেই এই নোটিস।’’