Arvind Kejriwal

হাই কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পর গ্রেফতারিকে বেআইনি প্রমাণে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কেজরীওয়াল

দিল্লির আবগারি মামলায় গত ২১ মার্চ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। এর পর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন আপ প্রধান। মঙ্গলবার সেই মামলার রায় দেয় দিল্লি হাই কোর্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১০:০৬
Share:

অরবিন্দ কেজরীওয়াল, মুখ্যমন্ত্রী, দিল্লি। — ফাইল চিত্র।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি বেআইনি নয় বলে মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। হাই কোর্টের বিচারপতি স্বর্ণকান্তা শর্মার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন কেজরীওয়াল।

Advertisement

দিল্লির আবগারি মামলায় গত ২১ মার্চ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এর পরেই তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন আপ প্রধান। গত বুধবার দু’পক্ষের সওয়াল শোনার পর কেজরীর গ্রেফতারি নিয়ে করা মামলার রায়দান সংরক্ষিত রেখেছিল দিল্লি হাই কোর্ট। মঙ্গলবার রায়দানের সময় দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়েছে, কেজরীর গ্রেফতারি বেআইনি ভাবে হয়নি। ইডি আদালতে জানিয়েছে, কেজরীর বিরুদ্ধে তাদের হাতে প্রমাণ রয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে আবগারি মামলার ‘মূলচক্রী’ হিসাবেও দেখিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পাশাপাশি, তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী যে আবেদন করেছেন, তা ‘ধোপে টিকছে না’ বলেই হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ। ১ এপ্রিল আবগারি মামলায় কেজরীওয়ালকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। কেজরীর আবেদন খারিজ করে হাই কোর্ট জানিয়েছে যে, আপাতত জেলেই থাকতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। গত বুধবার মামলার শুনানিতে ইডি আদালতে জানিয়েছিল, আবগারি মামলায় আপের কিছু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চায় তারা। আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীওয়ালের ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়ে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি বলে আদালতে জানিয়েছিল ইডি। পাশাপাশি, কেজরীওয়াল ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যে আবেদন করেছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘‘এই আবেদন এমন ভাবে করা হয়েছে, যেন এটি গ্রেফতার বাতিলের আবেদন নয়, জামিনের আবেদন।’’ কেজরীওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির দাবি ছিল, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ ছিল। তাই তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। গত বুধবার দু’পক্ষের সওয়াল শোনার পর ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে আপ প্রধানের মামলার রায়দান সংরক্ষিত রেখেছিল দিল্লি হাই কোর্ট। তবে মঙ্গলবার কেজরীর আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এ বার সুপ্রিম কোর্টে গেলেন কেজরীওয়াল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement