অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
আম আদমি পার্টির চেয়ে বিজেপি এবং কংগ্রেসের সংগঠন ছোট। রবিবার দুই দলকেই বিঁধে হরিয়ানার রোহতকের সভায় দাবি করলেন আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। পাশাপাশি, ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে বিরোধী দলগুলোর নেতামন্ত্রীদের বাড়িতে ইডি, সিবিআই অভিযান নিয়েও কটাক্ষ করলেন তিনি।
রবিবার রোহতকের সভা থেকে কেজরী বলেন, ‘‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আপের তুলনায় বিজেপি এবং কংগ্রেসের সংগঠন ছোট। ওই দুই দলের সাংগঠনিক আয়তন আপের এক দশমাংশও নয়।’’ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, ‘‘একটি সংগঠন তখনই তৈরি হয়, যখন সাধারণ মানুষ ওই সংগঠনকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধে। কংগ্রেস এবং বিজেপি যদি কোনও গ্রামে গিয়ে বলে, ‘আমাদের দলে যোগ দিন।’ তাতে স্বেচ্ছায় কেউ যোগ দেবেন না।’’ কিন্তু একই আহ্বান যদি আপ করে? কেজরীর দাবি, ‘‘কোনও এক জন আপ কর্মী যে কোনও গ্রামে গিয়ে এই দলে (সংগঠনে) নাম লেখাতে বললে, বাড়ির খুদেরাও যোগ দিতে চাইবে। কেন? কারণ, মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আপের উপর ভরসা রাখে।’’
নিজের দলের সংগঠন নিয়ে প্রশংসা করতে গিয়ে কেজরী জানান, বিজেপি এবং কংগ্রেসের পরে আপ এখন দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দল। সেটাও হয়েছে মাত্র ১১ বছরে। তাঁর কথায়, ‘‘এখন মোদীজি (প্রধানমন্ত্রী) আপকে ভয় পাচ্ছেন। যে ভাবে আপ এগিয়ে চলেছে, তা রীতিমতো ভীত উনি। দিল্লি এবং পঞ্জাবের মতো হরিয়ানাতেও আপ অন্যান্য দলকে সাফ করে দেবে।’’
তার পরেই ইডি হানা নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায় কেজরীকে। বস্তুত, আপের তরফে আগেও অভিযোগ করা হয়েছে, তাদের শীর্ষ নেতৃত্বকে জেলে আটকে রেখে দলকে শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছে বিজেপি। নির্বাচনে পেরে না উঠে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে আপকে বিপাকে ফেলার কৌশল নিয়েছে পদ্ম শিবির। কয়েক দিন আগেই ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার তিনি বলেন, ‘‘আপনি যে কোনও অপরাধ করে সুরক্ষার জন্য বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। কে দুর্নীতিগ্রস্ত? যিনি বিজেপির ডাকে সাড়া না দিয়ে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন, তিনি? না, আসলে উনি সৎ।’’
উল্লেখ্য, পঞ্জাবে গত বিধানসভা ভোটে অন্যদের স্রেফ উড়িয়ে দিয়ে ১১৭ আসনের মধ্যে ৯২টি পেয়ে ক্ষমতা দখল করেছে কেজরীর দল। আগামী বছর হরিয়ানাতেও সেই ছবি দেখা যাবে বলে দাবি করেছেন কেজরী।