শপথগ্রহণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানালেন কেজরীবাল। —ফাইল চিত্র
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হেমন্ত সোরেনের শপথে বিরোধী ঐক্যের চেহারা ফুটে উঠেছিল। দিল্লির ভোটে অরবিন্দ কেজরীবালের বিপুল জয়ের পর রাজনৈতিক মহলের ইঙ্গিত ছিল, আরও বড় শক্তিপ্রদর্শনের মঞ্চ হয়ে উঠতে পারে কেজরীবালের শপথের অনুষ্ঠান। কিন্তু তা হচ্ছে না। অন্য কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা কোনও নেতাকেই আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না বলে জানাল আম আদমি পার্টি (আপ)। অন্য দিকে, আজই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরীবাল।
রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন অরবিন্দ কেজরীবাল। সেই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আনুষ্ঠানিক ভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে আজ শুক্রবার দলের তরফে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে অন্য কোনও রাজ্যের নেতাকেই যে আমন্ত্রণ পাঠানো হচ্ছে না, তাও জানানো হয়েছে আপের তরফে।
আপের আহ্বায়ক গোপাল রাই সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘কোনও মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য কোনও রাজ্যের রাজনৈতিক নেতাকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। পুরো অনুষ্ঠানই দিল্লিকেন্দ্রিক হবে।’’ গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় একই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আপের ‘নাম্বার টু’ মনীশ সিসৌদিয়া। তিনিও বলেছিলেন, ‘‘দিল্লির সবাইকে’ আমন্ত্রণ জানানো হবে।"
আরও পড়ুন: আমার আনা প্রকল্প, উদ্বোধনে এক বার জানালও না! মেট্রো নিয়ে উষ্মা মমতার
আরও পড়ুন: নির্ভয়া-কাণ্ড: সুপ্রিম কোর্টে বিনয়ের আর্জি খারিজ, সে একেবারে সুস্থ, জানিয়ে দিল আদালত
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে ৬২টি আসনে বিপুল জয় পেয়েছে অরবিন্দ কেজরীবালের নেতৃত্বে আপ। বিজেপি দুই অঙ্কেও পৌঁছতে পারেনি। তাদের আসন সংখ্যা ৮। ২০১৫ সালের মতোই একটি আসনও পায়নি কংগ্রেস। এই বিপুল জনসমর্থন নিয়ে দিল্লির ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন অরবিন্দ কেজরীবাল।