ছবি: পিটিআই।
কলকাতা মেট্রো রেলের ভিড় নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আগেই জানতে চেয়েছিলেন সেন্ট্রাল মুম্বই রেলের কর্তারা। এ বার সেই প্রযুক্তি নিয়ে আগ্রহী দিল্লি মেট্রোও।
গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লিতে পরিষেবা শুরু হয়েছে। কিন্তু, করোনা আবহে ভিড় বাড়তে শুরু করায় মেট্রো কর্তৃপক্ষকে বিকল্প ভাবতে হচ্ছে। তাঁরাও মনে করছেন স্টেশনের বাইরে রক্ষীর সংখ্যা বাড়িয়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এ দিন কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ ছাড়াও ই-পাসের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সংস্থার সঙ্গে কথা বলেন দিল্লি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ই-পাস কী ভাবে কাজ করছে, তা বুঝতে এ দিন ওই সংস্থার সঙ্গে অনলাইন বৈঠক করেন মুম্বই সেন্ট্রাল রেল কর্তৃপক্ষ। মুম্বইতে গত কয়েক মাস ধরে লোকাল ট্রেন চালু হলেও এখনও তা সাধারণ যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া যায়নি। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষই একমাত্র সেখানে যাতায়াতের সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু দিনে প্রায় ৩ লক্ষ যাত্রীর জন্য ১৫০০ ট্রেন চালিয়েও দূরত্ব বিধি সব সময় মানা যাচ্ছে না। এখানে মেট্রো কর্তৃপক্ষ প্রতি মুহূর্তে কোথায় কেমন ভিড় হচ্ছে, যাত্রীদের যাতায়াতের প্রবণতা কেমন সে সম্পর্কে তথ্য পাচ্ছেন। ফলে পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে সুবিধা হচ্ছে। শুক্রবার ৪০ হাজারের বেশি যাত্রী মেট্রোতে সফর করেছেন। মেট্রোর পাসের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কর্তা সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, "করোনা পরিস্থিতিতে পরিকাঠামোর সামর্থ্য অনুযায়ী যাত্রী সংখ্যা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তি দিয়ে কী ভাবে সেটা করা হচ্ছে , তা জানতে চেয়েই মুম্বই ও দিল্লির রেল এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।"