এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ব্যবসায়িক অংশীদারকে খুন করতে ভাড়া করেছিলেন ‘খুনি’। সেই খুনির হাতেই মৃত্যু হল ব্যবসায়ীর। গত মাসের শেষে দেহরাদূনে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, নিহত ব্যবসায়ীর নাম মঞ্জেশ কুমার (৪২)। সম্প্রতি মঞ্জেশ তাঁর ব্যবসায় অংশীদার সঞ্জয় সিংহকে খুনের জন্য এক ব্যক্তিকে ভাড়া করেন। কিন্তু এর দিনকয়েক পরে সেই ব্যক্তির হাতেই খুন হন তিনি!
বৃহস্পতিবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাড়াটে খুনির নাম অর্জুন কুমার। মঞ্জেশের থেকে সঞ্জয়কে খুনের বরাত পাওয়ার পর সটান সঞ্জয়ের কাছেই গিয়ে হাজির হন অর্জুন! মঞ্জেশের পরিকল্পনার কথাও খুলে বলেন। এর পরেই সঞ্জয় ওই ভাড়াটে খুনিকে উল্টে ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে মঞ্জেশকে খুন করার প্রস্তাব দিয়ে বসেন। দেহরাদূন পুলিশের অতিরিক্ত সুপার অজয় সিংহ বলেন, ‘’২৯ নভেম্বর মঞ্জেশকে আলোচনার জন্য নিজের বাড়িতে ডাকেন ওই ভাড়াটে খুনি। সেখানে আগে থেকেই তাঁর বন্ধুও উপস্থিত ছিলেন। মঞ্জেশ পৌঁছলে দু’জনে মিলে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন।’’ শুধু তাই নয়, খুনের পর মঞ্জেশের দেহ থেকে সোনার চেন, আংটি খুলে নেন দুই অভিযুক্ত। হাতিয়ে নেন পকেটে থাকা গাড়ির চাবিটিও। এর পর চুরি করা জিনিসগুলি আফজ়ল নামে তৃতীয় এক ব্যক্তির কাছে গচ্ছিত রেখে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন তাঁরা।
ওই ঘটনার মূল অভিযুক্তকে সোনিপত থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধরা পড়েছেন তাঁর সহযোগীও। পাশাপাশি, মঙ্গলবার ওই ঘটনায় সঞ্জয় এবং আফজ়লকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে মঞ্জেশের চুরি যাওয়া জিনিসগুলি। ধৃতদের দীর্ঘ জেরার পর পুলিশ জানিয়েছে, মঞ্জেশ ও সঞ্জয় দীর্ঘ দিন ধরে একে অপরকে চিনতেন। এক সঙ্গে ব্যবসাও করতেন। তবে দুই অংশীদারের মধ্যে ব্যবসায় লগ্নি নিয়ে প্রায়ই বচসা বাধত। সম্প্রতি সহস্রধারার কাছে একটি জমির প্লট কেনেন সঞ্জয়। তাতেও নিজের ৫০ শতাংশ অংশীদারি দাবি করেছিলেন মঞ্জেশ। সেই বিষয়কে ঘিরে নতুন করে বিরোধ শুরু হয় দু’জনের। এর পরেই একে অপরকে খুনের পরিকল্পনা করেন দুই বন্ধু! খুনের নেপথ্যে আরও কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।