Couple Died in Dehradun

তিন দিন বন্ধ থাকা বাড়িতে মিলল দম্পতির পচাগলা দেহ, পুলিশ উদ্ধার করল চার দিনের জীবিত শিশুকে

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক অনেক টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণ শোধ করতে পারেননি বলে সম্ভবত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। কী ভাবে মৃত্যু, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানা যাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

দেহরাদূন শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৩ ১৮:১৬
Share:

ছবি: প্রতীকী

দেহরাদূনের বাড়ি থেকে উদ্ধার তরুণ দম্পতির পচাগলা দেহ। দু’টি দেহের পাশেই ছিল দম্পতির চার দিনের শিশু। তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন দিন আগে মৃত্যু হয়েছে ওই দম্পতির।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে কাশিফ (২৫) নামে এক যুবক এবং আনাম (২২) নামে এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁরা আদতে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের বাসিন্দা। এক বছর আগেই তাঁদের বিয়ে হয়েছে। তিন দিন ধরে বন্ধ ছিল বাড়ি। সেখান থেকে দুর্গন্ধ বার হওয়ায় থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক অনেক টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণ শোধ করতে পারেননি বলে সম্ভবত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। কী ভাবে মৃত্যু, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানা যাবে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আনামের আগে আর এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন কাশিফ। দু’জনের একটি সন্তানও রয়েছে। কাশিফের প্রথম স্ত্রী নুসরত সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত ২-৩ দিন ধরে স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু ফোনে পাননি। ১০ জুন রাত ১১টার সময় শেষ বার কাশিফের সঙ্গে কথা হয়েছিল নুসরতের। তিনি আরও জানিয়েছেন, কাশিফের ঋণ নেওয়ার কথা আনাম তাঁকে বলেছিলেন। আনাম জানিয়েছিলেন, এক ব্যক্তির থেকে ৫ লক্ষ টাকা ধার করেছিলেন কাশিফ। নুসরত এও দাবি করেন যে, কাশিফের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি তালাবন্ধ থাকায় ফিরে চলে আসেন। কাশিফের বাবা এবং ভাইকেও খবর দেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement