National News

ছত্তীসগঢ়ে সংঘর্ষে হত ১৭ জওয়ান

ঘটনার নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ক‌ংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা  

রায়পুর শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২০ ০২:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

ছত্তীসগঢ়ের সুকমায় মাওবাদী দমন অভিযানের সময়ে নিখোঁজ ১৭ জন জওয়ানের দেহই উদ্ধার করল বাহিনী। তাঁদের মধ্যে ২ জন ছত্তীসগঢ় পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের। বাকি ১৫ জন ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ ফোর্সের। জওয়ানদের প্রচুর অস্ত্রও খোয়া গিয়েছে। আহত ১৫ জন জওয়ান। রায়পুরের হাসপাতালে এ দিন আহতদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। ঘটনার নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ক‌ংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। এর আগে ২০১৮ সালে ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২৪ জন সিআরপি জওয়ান।

Advertisement

ছত্তীসগঢ় পুলিশের আইজি দুর্গেশ অবস্থি জানান, গত কাল এলমাগুন্ডা এলাকায় মাওবাদীদের বড় জমায়েতের খবর পেয়ে অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। মাওবাদীদের গেরিলা বাহিনীর পিএলজিএ ১ ও ২ নম্বর কোম্পানি এলমাগুন্ডায় জমায়েত হচ্ছিল বলে খবর পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। অভিযান শেষে ফেরার সময়ে মিনপা গ্রামের কাছে জঙ্গলে ৩৫০ জন মাওবাদী বাহিনীর একটি দলের উপরে হামলা চালায়। পুলিশের মতে, সেখানে বাহিনীর উপরে হামলা চালানোর জন্য ফাঁদ পেতে বসেছিল জঙ্গিরা।

ঘটনার পরে পুলিশ জানায়, ১৫ জন আহত জওয়ানকে রায়পুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ১৭ জন নিখোঁজ। আজ সেই ১৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। অবস্থি বলেন, ‘‘হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে মাওবাদী নেতা হিডমা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে গুলি বিনিময় হয়। ঘটনাস্থলে ৫৫০ জন জওয়ানের নয়া দল পাঠানো হয়েছে।’’ এক গোয়েন্দা কর্তার কথায়, ‘‘মাওবাদী নেতা বাসবরাজের নেতৃত্বে জঙ্গিরা ফের সংগঠিত হচ্ছে। বাসবরাজ গেরিলা যুদ্ধ, আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো ও ফাঁদ পেতে হামলা চালানোয় দক্ষ। আমরা খবর পেয়েই অভিযান চালিয়েছিলাম। কিন্তু সংখ্যায় মাওবাদীরা অনেক বেশি ছিল।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: আজ থেকেই কি মুলতুবি সংসদ?

ঘটনার পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বাহিনীর ১৬টি স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি গ্রেনেড লঞ্চারের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement