মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। ছবি: টুইটার।
তৃতীয় চন্দ্রযান সফল ভাবে চাঁদে অবতরণ করার চার দিনের মাথায় মন্দিরে পুজো দিতে দেখা গেল ইসরোর প্রধান এস সোমনাথকে। রবিবার সকালে কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে পূর্ণমিকাভু-ভদ্রকালী মন্দিরে পুজো দেন ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান।
এর আগে গত জুলাই মাসে তৃতীয় চন্দ্রযান অভিযানের সাফল্য কামনায় অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা তিরুপতি মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রযানের একটি মডেল হাতে নিয়ে মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন ওই বিজ্ঞানীরা। সেই সময় ইসরো প্রধান সোমনাথও অন্ধপ্রদেশের সুল্লুরপেটায় চেঙ্গালাম্মা পরমেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন। পরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, চন্দ্রযানের সাফল্য কামনাতেই দেবতার আশীর্বাদ নিতে এসেছিলেন তিনি।
গত বুধবার চাঁদে অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩। চল্লিশ দিনের দীর্ঘ সফরের ক্লান্তি কাটাতে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামার পরে ঘণ্টাখানেক বিশ্রাম নেয় ল্যান্ডার বিক্রম। তার আগমনে উপগ্রহের মাটিতে যে ধুলোর ঝড় উঠেছিল, ক্রমে তা থিতিয়ে পড়ে। তার পরে বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে আসে রোভার প্রজ্ঞান। তার ছ’চাকার ছাপ পড়ে চাঁদের মাটিতে। আগামী দু’সপ্তাহ (পৃথিবীর হিসাবে) চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে প্রজ্ঞান। তাকে সাহায্য করবে ল্যান্ডার বিক্রম।
এই দিনটার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছে ইসরোকে। এই প্রসঙ্গে উঠে আসে ২০১৯ সালে দ্বিতীয় চন্দ্রযানের ব্যর্থতার প্রসঙ্গও। একটি সাক্ষাৎকারে সোমনাথ বলেন, “এক বছর তো এটা বুঝতেই কেটে গিয়েছিল, ভুল কোথায় ছিল!’’ জানান, কী ভাবে শূন্য থেকে নতুন করে শুরু করতে হয়েছিল সবটা। শিক্ষা নিতে হয়েছিল ব্যর্থতা থেকে। বার্তা স্পষ্ট, আগের অভিযান সম্পূর্ণ না হলেও হেরে যায়নি ইসরো। লক্ষ্য আরও বহু দূর। চাঁদে কলোনি স্থাপন! সাক্ষাৎকারে ইসরো-প্রধান বলেন, ‘‘মানুষ চাঁদে যেতে চায়। সেখানে থাকার মহল্লাও তৈরি করতে চায়। আমরা সেরা এলাকাটি খুঁজে বার করার চেষ্টা করছি।’’