সমীর ওয়াংখেড়ে।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক আগেই অভিযোগ করেছিলেন। এ বার নার্কোটিক্স কন্ট্রোল বুরো (এনসিবি)-র এই আঞ্চলিক প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ করল দু’টি দলিত সংগঠন-ও। ‘স্বাভিমানী রিপাবলিকান পার্টি’ ও ‘ভিম আর্মি’ নামে সংগঠন দু’টির দাবি, সমীরের জন্মের শংসাপত্রে যে হেতু তাঁর ধর্মপরিচয়ে ‘মুসলিম’ লেখা রয়েছে, তাই তিনি দলিত সংরক্ষণের আওতায় পড়বেন না। সংগঠনগুলির অভিযোগ, নিজেকে ‘দলিত’ পরিচয় দিয়ে সংরক্ষিত আসনে সরকারি চাকরি পান সমীর।
২ অক্টোবর প্রমোদতরী থেকে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানকে ধরার পর থেকেই খবরের শিরোনামে ওয়াংখেড়ে। বিভিন্ন মাদক মামলায় কী ভাবে কড়া হাতে তদন্ত চালাচ্ছেন তিনি, ভিআইপিদেরও রেয়াত করছেন না, বারবার চর্চায় উঠে আসছিল সেই কথাই। কিন্তু পাশা ঘুরে যায় সপ্তাহ দু’য়েক পরেই। প্রথমে ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনেন মামলার অন্যতম সাক্ষী কেপি গোসাভী। তার পরেই ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়।
আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গেই যোগ হয় চাকরির জন্য ভুয়ো শংসাপত্র দাখিলের অভিযোগ। এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী নবাব মালিক অভিযোগ করেন, মুসলিম হলেও চাকরি পাওয়ার জন্য নিজেকে দলিত বলে পরিচয় দিয়েছেন ওয়াংখেড়ে। প্রমাণ হিসাবে সমীর ওয়াংখেড়ের শংসাপত্রের ছবিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। সমীর ও তাঁর পরিবার যদিও বারবার বলেছেন, তিনি মুসলিম নন। তাঁর বাবা দলিত সম্প্রদায়ের। তাঁর মা যদিও মুসলিম। নবাবের পাল্টা দাবি, বিয়ের সময়ে সমীরের বাবা ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম হয়ে যান। তাই কোনও ভাবেই নিজেকে দলিত হিসাবে দাবি করতে পারেন না সমীর। আজ নবাবের সুরেই সুর মিলিয়ে দলিত সংগঠন দু’টি অভিযোগ করে, ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে সমীর যে ভাবে দ্বিচারিতা করেছেন, তাতে দলিতদের অপমান করা হয়েছে।