গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার কমে হল ৩.৭৫ শতাংশ। —ফাইল চিত্র
গত তিন দিন ধরে দেশে কোভিডে দৈনিক আক্রান্তের রেখচিত্র নিম্নমুখী হলেও তা দশ হাজারের উপরেই রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১১,৫৩৯। শনিবার এই সংখ্যা ছিল ১৩,২৭২। রাজ্যভিত্তিক কোভিড পরিস্থিতির দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, দৈনিক সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১,৮৫৫। দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় এর পর রয়েছে কর্নাটক (১,৭১৩), দিল্লি (১,১০৯), কেরল (১,০৭৫) ও হরিয়ানা (৭১৯)।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কেরল ও রাজধানীতে নয় জন, কর্নাটকে চার জন, রাজস্থান, গুজরাতে তিন জন, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তীসগঢ়, মেঘালয় ও উত্তরাখণ্ডে দু’জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, পঞ্জাব, সিকিম ও হিমাচল প্রদেশে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। শনিবার এই সংখ্যা ছিল ৩৬। দেশে এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৮৯৫ জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার কমে হল ৩.৭৫ শতাংশ। শনিবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৪.২১ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ১২,৭৮৩ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩৭ লক্ষ ১২ হাজার ২১৮ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৫৯ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ২০৯ কোটি ৬৭ লক্ষ ৬ হাজার ৮৯৫ টিকাকরণ হয়েছে।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)