—প্রতীকী ছবি।
শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় মিধিলি-র তাণ্ডবে ত্রিপুরায় সব জেলায় আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সারা রাজ্যে ১২টি বাড়ি সম্পূর্ণ, ৬৬টি বাড়ি মারাত্মক ভাবে এবং ২৩৯টি বাড়ি আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও প্রশাসনের তরফে ক্ষতিপূরণের সমীক্ষা করা হচ্ছে।
শনিবার রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, শুক্রবাররাজ্য জুড়ে প্রচণ্ড ঝড় এবং প্রবল বৃষ্টির ফলে অনেক ক্ষয়ক্ষতিহয়েছে। ঊনকোটি জেলার ৬টি বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪৪টি বাড়ি আংশিক ভাবে এবং ৮টি বাড়ি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই ভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অন্যান্য জেলায়।
বিভিন্ন এলাকায় কৃষিজমিতে থাকা ধান-সহ অন্য শীতকালীন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকরা দাবি করেছেন।
সারা ভারত কৃষক সভার ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর জানিয়েছেন, সারা রাজ্যেই এই অকাল বর্ষণের ফলে কৃষিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ২০২১ ও ২০২২ সালের এই সময়ে একই রকম অকালবর্ষণেরফলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। রাজ্য কৃষক সভা বারবারতাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকার কোনও সহায়তা করেনি। শুক্রবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা সমাজমাধ্যমে জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে রাজ্যের যে সব কৃষকের ফসলের ক্ষতি হয়েছে রাজ্য সরকার নিয়ম অনুসারে তাঁদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে।