ঝড়ে উত্তাল সমুদ্র। ফাইল চিত্র।
পূর্বাভাস মিলিয়েই শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণ উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝ়ড় ‘মন্দৌস’। ঝড়ের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ায় কার্যত বিপর্যস্ত সে রাজ্যের রায়লসীমা অঞ্চল। ঝড়ের অভিঘাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পড়শি রাজ্য তামিলনাড়ুর মমল্লপুরমেও। অন্ধ্রের প্রকাশম জেলার উলাপালেম গ্রাম থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ৭ জন মৎস্যজীবী ৬ দিন কেটে গেলেও ফেরেননি। তাঁদের ট্রলারকেও কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। উত্তাল সমুদ্র একটু শান্ত হতেই তাঁদের সন্ধানে বিশেষ উদ্ধারকারী দলকে নামিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। অন্য দিকে, নেল্লোর জেলায় ৫০ বছর বয়সি এক ব্যক্তি তড়িদাহত হয়ে মারা গিয়েছেন। ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, অন্ধ্রের রায়লসীমা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার অধিকাংশই নদীর জলই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। তবে একই সঙ্গে ওই কর্তা জানিয়েছেন, জলসঙ্কটে ভোগা রায়লসীমা অঞ্চলে এই প্রবল বর্ষণের ফলে অনেক জলাশয় এবং নদীর মরা খাতে আবার জল এসেছে। কিন্তু একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভোগান্তি ও জলযন্ত্রণাও। রাজ্যের তিরুপতি, নেলোরের মতো জেলাগুলির গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে এখনও হাঁটুসমান জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। সাবওয়েগুলিতে জল দাঁড়িয়ে থাকায় ট্র্যাফিক ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে শনিবারই বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন্মোহন রেড্ডি। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অমরাবতীর হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আর না থাকলেও সোমবার পর্যন্ত রাজ্যে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।