প্রতীকী ছবি।
গত পরিসংখ্যানের তুলনায় কার্যত দ্বিগুণ হল দেশের সাইবার অপরাধের ঘটনা। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড বুরো (এনসিআরবি)-র তরফে গত রাতে প্রকাশিত ২০১৭ সালের তথ্যে দেখা গিয়েছে, ২০১৬ সালের তুলনায় পরবর্তী এক বছরে কার্যত দ্বিগুণ হয়েছে সাইবার অপরাধের সংখ্যা। দেশের বড় শহরগুলির মধ্যে এমন অপরাধের শীর্ষে রয়েছে বেঙ্গালুরু।
ইন্টারনেটে দেশের বিরুদ্ধে ঘৃণা (হেট এগেনস্ট কান্ট্রি) ছড়ানোর ২০৬টি ঘটনা সামনে এসেছে। তালিকার শীর্ষে মহারাষ্ট্র। তার পরেই উত্তরপ্রদেশ। পশ্চিমবঙ্গে এ ধাঁচের ঘটনা ঘটেছে ৪টি। কলকাতায় একটিও নয়।
দেশে ২০১৬ সালে যেখানে ১২,৩১৭টি সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, সেখানে ২০১৭ সালে নথিভুক্ত হয়েছে ২১,৭৯৬টি অভিযোগ। সেগুলির মধ্যে সাইবার জালিয়াতির অভিযোগ ১২,২১৩টি। যা মোট অভিযোগের অর্ধেকেরও বেশি। অনলাইন ব্যবহার করে যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে ১,৪৬০টি। তবে সংখ্যাটি বাস্তবের চেয়ে অনেক কম বলেই স্বীকার করে নেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকেরা।
তালিকায় বঙ্গ
সাইবার অপরাধের শিকার
• দেশে ৪১৫৮ জন মহিলা
• পশ্চিমবঙ্গে ২৭০
অনলাইন ব্যবহার করে যৌন অত্যাচার
• দেশে মোট ৪২৪
• পশ্চিমবঙ্গে ২৭০
• কলকাতায় ৬৩
সাইবার জালিয়াতি
• পশ্চিমবঙ্গে ৫৬৮
• ওটি পি জেনে বা অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ে চুরি ৩৫
• কলকাতায় ১৯৬
ভুয়ো খবর
• দেশে ১৬৬
• পশ্চিমবঙ্গে ৭
অশালীন ছবি-লেখা পোস্ট
• পশ্চিমবঙ্গে ৯০
• কলকাতায় ৫৫
(সূত্র: এনসিআরবি, ২০১৭ সালে নথিভুক্ত অভিযোগ)
সাইবার ক্রাইম বিভাগের এক অফিসারের মতে, দেশে প্রায় অর্ধেকের বেশি সাইবার অপরাধের অভিযোগ দায়ের হয় না। আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তবেই আম-জনতা অভিযোগ জানাতে এগিয়ে আসেন। অনেক ক্ষেত্রেই যৌন হেনস্থার ঘটনায়, লোকলজ্জা-পরিচয় জানাজানির ভয়ে অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকাই পছন্দ করেন নির্যাতিতার পরিবার।
মন্ত্রক সূত্রের খবর, মোবাইল-কম্পিউটারের মাধ্যমে দেশবিরোধী পোস্ট বা ঘৃণা ছড়ানোর অনেক ঘটনা প্রায়শই সামনে এলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা নথিভুক্ত হয়নি বলে মন্ত্রকের কর্তারা মনে করছেন। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ২০১৭ সালে ২০৬টি এমন ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। দেশের ১৯টি বড় শহরে অভিযোগ জমা পড়ার সংখ্যা মাত্র ৭। মুম্বইয়ে দু’টি ও একটি করে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, কোয়ম্বত্তূর, জয়পুর ও ইনদওরে। তালিকায় নেই কলকাতা।