হাতাহাতির সেই দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
ব্যাঙ্কে স্থায়ী আমানত (ফিক্সড ডিপোজিট) ছিল। হঠাৎ মোবাইলে মেসেজ পেলেন ব্যাঙ্কে জমানো সেই টাকা থেকে কর কাটা হয়েছে। মেসেজ দেখার পর সোজা ব্যাঙ্কে উপস্থিত হলেন যুবক। কেন টাকা কাটল? সে নিয়ে বেশ খানিক ক্ষণ ম্যানেজারের সঙ্গে তর্কাতর্কি করলেন তিনি। কিছু ক্ষণ পরই শুরু হল ‘যুদ্ধ’। অভিযোগ, টাকা ফেরত চেয়ে ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে ধরে চড়-থাপ্পড়, ঘুষি মারেন ওই গ্রাহক। কিছু ক্ষণ পড়ে পড়ে মার খাওয়ার পর প্রতিরোধে হাত চালালেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারও। মারামারি থামাতে কার্যত বেগ পেতে হয় ব্যাঙ্কে উপস্থিত বাকিদের। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের আমদাবাদে ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের একটি শাখায়। ভাইরাল হয়েছে মারামারি এবং কথা কাটাকাটির ভিডিয়ো।
৪৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, দুই ব্যক্তি একে অন্যের জামার কলার ধরেছেন (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। দু’জনেই উত্তেজিত। চলছে প্রবল কথা কাটাকাটি। তাঁদের মধ্যে এক জন ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট শাখার ম্যানেজার, অন্য জন গ্রাহক।
ম্যানেজারকে ধরে চড় মারতে দেখা যায় গ্রাহককে। এমনকি মাথায় চাঁটিও মারেন। চুল ধরে ঝাঁকান। পাল্টা ম্যানেজার তাঁকে মারধর করেন। দু’জনকে থামাতে গিয়ে ঘাম ছুটে যায় অন্যদের। এক মহিলা ব্যাঙ্ককর্মী কেঁদে ফেলেন। তিনি সকলকে থামতে অনুরোধ করেন। অন্য দিকে, পিছন থেকে এক বৃদ্ধা চিৎকার করে ছেলে (গ্রাহক)-কে চলে আসতে অনুরোধ করেন। কিন্তু কেউই সহজে থামেননি। এমনকি ম্যানেজারকে ছেড়ে আরও এক ব্যাঙ্ককর্মীকে মারধর করেন ওই যুবক।
একই রকমের একটি ঘটনা ঘটেছে বিহারের পটনায়। সেখানকার একটি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ চাইতে গিয়েছিলেন এক গ্রাহক। কিন্তু ‘সিবিল স্কোর’ কম থাকায় তাঁকে ঋণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। কিন্তু তা শুনতে রাজি হননি ওই গ্রাহক। তিনি ম্যানেজারকে হুমকি দিতে শুরু করেন। ব্যাঙ্কের ভিতর চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন।