মণিপুরে অশান্তির পিছনে রয়েছে কেন্দ্রের চক্রান্ত— এমনই অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। শাসকদলের সন্দেহ, মণিপুরে নাগা সংগঠনগুলিকে মদত দিয়ে এবং মেইতেইদের উস্কে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই অজুহাতে বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ছক কষা হচ্ছে।
রাজ্যের এক মন্ত্রীর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গত কাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল। সেখানে মণিপুরের অশান্ত পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির প্রস্তাব আনা হয়েছে। ঠিক একই দাবিই তুলেছিল ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিল। কংগ্রেসের দাবি, সোজা পথে মণিপুর দখল করতে পারবে না বুঝতে পেরে বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সরাসরি নাগা সংগঠনগুলির সঙ্গে মণিপুর দখলে হাত মিলিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্র ও নাগাদের চক্রান্ত সফল হতে দেবে না বলে হুমকি দিয়েছে মণিপুরের জঙ্গি সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ ‘কোর কম’। তারা জানায়, আইএম-কে দিয়ে মণিপুরে অশান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি। আম-জনতাকে কেন্দ্রের ফাঁদে পা না দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে তারা।
মণিপুরে শান্তি আজও ফেরেনি। পূর্ব ও পশ্চিম ইম্ফলে অবরোধ হঠাতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে পুলিশ। হয়েছে লাঠিচার্জ। কিছু গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গত রাতে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় পূর্ব ইম্ফলের পাঙ্গেই নেপালিবস্তির গির্জায়। মণিপুর পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কাছাকাছি বিলিভার্স গির্জাতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের আশঙ্কা, জমির লড়াই ধর্মীয় সংঘর্ষের চেহারা নিতে পারে। তা এড়াতে চলছে কার্ফু। নয়াদিল্লির প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মণিপুরে অশান্তি রুখতে আধাসামরিক বাহিনীর ৪ হাজার জওয়ানকে সে রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। উখরুলের লিটন গ্রামে নির্মাণকাজে যুক্ত জনাবিশেক শ্রমিককে এনএসসিএন (আইএম) অপহরণ করেছিল। পুলিশ জানায়, পরে সবার খোঁজ মিলেছে। কিন্তু জঙ্গিরা তাঁদের মোবাইল, টাকা ও গাড়ি ছিনিয়ে নেয়।
নাগা এলাকাগামী রাস্তায় মেইতেইরা অবরোধ করেছে। নাগা ছাত্র সংগঠন এনএসএফ মণিপুরগামী রাস্তা অবরোধের ডাক দিয়েছে। তবে ছাত্রদের অবরোধ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।