পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বীরেন্দ্রর দেহ উদ্ধার হয়। প্রতীকী ছবি।
দিনের পর দিন মত্ত স্বামীর অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে যৌনাঙ্গ কেটে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে। মধ্যপ্রদেশের সিংরাউলির ঘটনা। নিহতের নাম বীরেন্দ্র গুর্জর। অভিযুক্ত স্ত্রীয়ের নাম কাঞ্চন গুর্জর। পুলিশ সূত্রে খবর, বীরেন্দ্রর পঞ্চম স্ত্রী ছিলেন কাঞ্চন। এর আগেও বীরেন্দ্রের হাতে হয়রানির শিকার হয়ে চার স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বীরেন্দ্রর দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে আসে যে, গলা এবং যৌনাঙ্গে আঘাতের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অরুণ পাণ্ডে জানান, বীরেন্দ্রর স্ত্রী-ই থানায় স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার মামলা দায়ের করেছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ নিহতের বেশ কয়েক জন আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর পর স্ত্রী কাঞ্চনের উপরেও সন্দেহ প্রকাশ করে পুলিশ। পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কাঞ্চন পুলিশকে জানান, তাঁর স্বামী বীরেন্দ্র পানাসক্ত ছিলেন এবং মত্ত অবস্থায় তাঁকে প্রতিনিয়ত মারধর করতেন। আর সেই কারণেই, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি স্বামীর খাবারে ২০টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীর যৌনাঙ্গ এবং গলায় কুড়ুলের কোপ মেরে খুন করেন। খুনের পর কাঞ্চন স্বামীর লাশ কাপড়ে মুড়িয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দেন। প্রমাণ নষ্ট করতে পুড়িয়ে দেওয়া হয় নিহতের জামাকাপড় ও চপ্পল।
কাঞ্চনের স্বীকারোক্তির পরেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন।