—প্রতীকী ছবি।
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগঢ়ের পরে তেলঙ্গানাতেও শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের সঙ্গে রফা হচ্ছে না সিপিএমের। দক্ষিণের ওই রাজ্যে একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নিল তারা। ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক আর এক বাম দল সিপিআই অবশ্য কংগ্রেসের দেওয়া একটি মাত্র আসনে লড়তে রাজি হয়েছে। পরে বিধান পরিষদের দু’টি আসন সিপিআইকে দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে কংগ্রেস।
লোকসভা নির্বাচনের আগে পাঁচ রাজ্যের যে গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে, সেখানে কংগ্রেসের ভূমিকা ‘নমনীয়’ নয় বলে আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল সিপিএম। কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে। তবে তেলঙ্গানায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রফা-সূত্র বার করার চেষ্টা চলেছিল। সূত্রের খবর, সিপিএম ওই রাজ্যে তিনটি আসন দাবি করেছিল। কংগ্রেস প্রথমে রাজি হয়েও পরে দু’টি আসনের কথা বলেছিল। তার পরেও আলোচনা চলছিল দু’পক্ষের। কিন্তু সিপিএমের বক্তব্য, খাম্মামে বেছে দেওয়া চারটি আসনের মধ্যে একটিও দিতে রাজি হয়নি কংগ্রেস। অন্যত্র দু’টি আসন দেওয়ার কথা বলেও সেগুলিও চূড়ান্ত করতে দেরি করেছে। তাই নিজেরাই রাজ্যের মোট ২৪টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। দলের তেলঙ্গানা রাজ্য সম্পাদক তাম্মিনেনি বীরভদ্রমের বক্তব্য, ‘‘আমাদের মূল লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো। যেখানে আমাদের প্রার্থী থাকবে না, সেখানে পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা বিআরএস বা কংগ্রেসকেও সমর্থনের কথা বলব।’’
কংগ্রেসের প্রস্তাব মেনে সিপিআই অবশ্য কোঠাগুদেম কেন্দ্রে লড়তে রাজি হয়েছে। সেখানে প্রার্থী হচ্ছেন সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক কে সম্বাশিব রাও। তেলঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এ রেবন্ত রেড্ডি এবং এআইসিসি-র তরফে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দীপা দাশমুন্সি সিপিআই রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে সমঝোতা চূড়ান্ত করেছেন।
এরই মধ্যে মহারাষ্ট্রে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম বেশ কিছু আসনে জয়ী হয়েছে। ঠানে, পালঘর জেলার তালাসারি মহকুমায় (তহসিল) পাঁচটি এবং দাহানু মহকুমায় তিনটি পঞ্চায়েতে প্রধানও নির্বাচিত হয়েছেন সিপিএম প্রার্থীরা। দুই মহকুমাতেই বেশ কিছু পঞ্চায়েত আসন সিপিএমের দখলে এসেছে। বিজয়ী প্রার্থীর উপরে বিজেপির হামলার অভিযোগও এনেছে সিপিএম। প্রসঙ্গত, স্থানীয় স্তরে এই সাংগঠনিক প্রভবের কথা বলেই অতীতে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের কাছে তারা আসন চেয়েছিল। তাতে ফল হয়নি। এ বার লোকসভা নির্বাচনে ওই রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের সমঝোতা হয় কি না, এখন নজর থাকবে সে দিকেও।