অনুষ্ঠানে বাধা। ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরায় বীরচন্দ্র মনুর মূল শহিদ বেদি সংলগ্ন এলাকায় ‘শহিদ দিবস’-এর অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হল না রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিএমকে। প্রশাসন অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ করেন সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য পরীক্ষিৎ মুড়া সিং, যাঁর বাবা গাঁথিরাই মুড়া সিং-ও সে দিন দুষ্কৃতীদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নিরুপম দত্ত জানান, বিজেপির পক্ষে আগেই ওখানে অন্য একটি অনুষ্ঠানের জন্যে আবেদন করা হয়েছে বলে সিপিএমকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
কংগ্রেস-টিইউজিএস জোট সরকারের আমলে ১৯৮৮ সালে ১২ অক্টোবর দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার শান্তির বাজার মহকুমার বীরচন্দ্র মনুতে শাসক দলের সমর্থক সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের হামলায় সিপিএমের ১১ জন কর্মী এবং ২ জন পুলিশ খুন হন। প্রত্যেক বছর এই দিনে সিপিএম বীরচন্দ্র মনুতে শহিদ দিবস পালন করে। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সেখানে এই অনুষ্ঠান করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ সিপিএমের। তবে আজ সারা ত্রিপুরায় শহিদ দিবস পালন করেছে সিপিএম। আগরতলায় একটি হল সভায় দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, পলিটবুরো সদস্য মানিক সরকার এবং রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাদল চৌধুরী বক্তৃতা দেন।
মানিক সরকার বলেন, “ইতিহাস বলছে, ফ্যাসিস্টরা জয়ী হয় না। ১৯৮৮ সালে ওই গণহত্যার পাঁচ বছর পরেই মানুষ বামফ্রন্টকে ফিরিয়ে এনেছিল।” বীরচন্দ্র মনুতে অনুষ্ঠান না করতে দেওয়ার জন্য বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, “এটাই বিজেপির কাছে প্রত্যাশিত।” এটা তাদের দুর্বলতা এবং বিচ্ছিন্নতার লক্ষণ বলে দাবি করেন মানিক। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, “৩৪ বছর আগে বীরচন্দ্র মনুতে বিজেপির নাম কেউ শোনেনি। আজ সেই বিজেপি সরকার শহিদ দিবস পালনে বাধা দিচ্ছে।” রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া দত্ত বলেন, “এরা শহিদদের নিয়ে রাজনীতি করছে। শহিদদের প্রতি আমাদেরও সমবেদনা রয়েছে।”