ছবি এফপি।
বিজেপি নেতার অভিযোগে কংগ্রেস সরকারের পুলিশ সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকল।
কাশ্মীরের ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে সিপিএমের মধ্যপ্রদেশ রাজ্য সম্পাদকের লেখা বই বিক্রি করছিলেন দলের নেতা-কর্মীরা। রাজ্যের বিজেপি নেতা লোকেন্দ্র পরাশরের আপত্তি শুনে মধ্যপ্রদেশের সিপিএম নেতা শেখ ঘনি-র বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর আইনে মামলা করল কমল নাথ সরকারের পুলিশ।
এক দিকে যখন সংসদের ভিতরে-বাইরে, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতেও সিপিএম নেতৃত্ব কংগ্রেসের পাশে থাকার চেষ্টা করছে, সে সময় কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে দলের নেতা-কর্মীদের হেনস্থায় শীর্ষনেতারা অস্বস্তিতে পড়েছেন। কিছু দিন আগেই রাজস্থানের সিকরে পুলিশ সিপিএমের দফতরে ঢুকে দুই প্রাক্তন বিধায়ক, আমরা রাম ও পেমা রামকে আটক করেছিল।
সিপিএম নেতারা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার গ্বালিয়রে সিপিএমের নেতা-কর্মীরা ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে প্রচার-পুস্তিকা বিক্রি করছিলেন। হাজির ছিলেন সিটু-র স্থানীয় নেতা ৬৪ বছরের শেখ ঘনি। ‘ধারা ৩৭০— সেতু ইয়া সুড়ঙ্গ’ নামের পুস্তিকাটি লিখেছেন দলের রাজ্য সম্পাদক জসবিন্দর সিংহ। তাতে সদ্য শ্রীনগর ঘুরে আসা সীতারাম ইয়েচুরিরও লেখা রয়েছে। এর পরেই বিজেপির মিডিয়া সেলের নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে আর্জি জানান, ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার বিরুদ্ধে ‘আপত্তিজনক সাহিত্য’ বিলি ও বিক্রি করা হচ্ছে। ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ভোপাল থেকে জসবিন্দর ফোনে বলেন, ‘‘ঘনিকে পরে ছেড়ে দিলেও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারায় জাতি-ধর্মের ভিত্তিতে বিদ্বেষ ছড়ানোর অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, বইয়ে আপত্তিজনক অংশ রয়েছে। বই বিক্রি বন্ধ রেখেছি।’’ প্রসঙ্গত, ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করা নিয়ে কমল নাথ বলেছিলেন, এতে শান্তি আসবে কি না, তা দেখার। বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসার পর তাঁর সরকার গোহত্যার ঘটনায় জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছিল।