এমস ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। ফাইল চিত্র।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২১-এর জানুয়ারিতেই করোনার প্রতিষেধক আসতে পারে ভারতে। তবে সে ক্ষেত্রে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সেস (এমস)-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। পাশাপাশি, এই প্রতিষেধক দেশের বাজারে এলে প্রাথমিক ভাবে তা কতটা সহজলভ্য হবে সে বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।
দেশে করোনার সংক্রমণের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। তাই প্রতিষেধকের অপেক্ষায় গোটা দেশ। প্রতিষেধক সরবরাহ করতে গিয়ে যে একটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে, তা স্বীকার করেছেন গুলেরিয়া। তবে কী ভাবে সরবরাহ করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে একটা মডেলের প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন গুলেরিয়া। তিনি বলেন, “ 'যেখানে আগে জরুরি’ সেখানেই আগে দেওয়া হবে। এই মডেলেই এগোনোর চিন্তাভাবনা চলছে।”
এই মডেল ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গুলেরিয়া জানান, প্রাথমিক ভাবে দুটো দলে ভাগ করে এই প্রতিষেধক দেওয়া ব্যবস্থা হতে পারে। এই দুটো দলের প্রথমটায় থাকবেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং অন্যান্য কোভিড যোদ্ধা। এবং যাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি, সে রকম মানুষ থাকবেন দ্বিতীয় দলটিতে। একটা জরুরিভিত্তিক তালিকা তৈরি করে তা অনুসরণ করলেই প্রতিষেধক সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা তৈরি হবে না বলে দাবি গুলেরিয়ার।
প্রতিষেধক দেওয়ার পর সেই ব্যক্তির শরীরে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না সেই বিষয়ে তথ্যও সংগ্রহ করার উপরে জোর দিয়েছেন গুলেরিয়া। পাশাপাশি তিনি এই বার্তাও দিয়েছেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যেক ভারতীয়র মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে তোলা জরুরি। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়। তা ছাড়া কোভিডের প্রোটোকলগুলো একবার নতুন করে জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: পুজোয় ২০০ স্পেশাল ট্রেন, প্রস্তুতি শুরু রেলের
ভারতে কি হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে? এ প্রসঙ্গে গুলেরিয়া জানান, ভারতের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে হার্ড ইমিউনিটি লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়। হার্ড ইমিউনিটির জন্য ৬০-৭০ শতাংশ জনসংখ্যাকে সংক্রমিত হতে হবে। এর পরই তাঁর মন্তব্য, “প্রতিষেধক দেওয়ার পর পরই হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে। যখন আমরা বিপুল সংখ্যক মানুষকে প্রতিষেধক দিতে পারব, তাঁদের মধ্যে একটা ইমিউনিটি তৈরি হবে। তখন আমরা হার্ড ইমিউনিটির কথা বলতে পারব।” তবে সাধারণ উপায়ে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হতে প্রচুর সময় লাগবে। আর তার জন্য অপেক্ষা করাটা সমাধান হতে পারে না বলেও মত গুলেরিয়ার।