মঙ্গলবার ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী জয়শঙ্কর। ছবি: সংগৃহীত
ব্রিটেনে গিয়ে গৃহবন্দি হলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এবং তাঁর প্রতিনিধি দল। জি-৭ এর সদস্য দেশগুলির বৈঠকে যোগ দিতে সোমবার লন্ডনে গিয়েছিলেন তাঁরা। দলের দুই প্রতিনিধির করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় গোটা দলটিকেই নিভৃতবাসে যেতে হয়েছে।
বুধবার লন্ডনে তাঁদের ছাড়াই বসে জি-৭ এর বৈঠক। তার আগে টুইট করে এ বিষয়ে জানান বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর। টুইটারে লেখেন তিনি নিজে করোনা নেগেটিভ হলেও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই থাকছেন না জি-৭-এর বাকি বৈঠকগুলিতে। আপাতত ব্রিটেন সফরে তাঁর দায়িত্বগুলি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের সাহায্যেই সম্পন্ন করবেন বলেও জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী।
জি-৭ এর বৈঠকে যোগ দিতে ৪ দিনের সফরে সোমবারই লন্ডনে পৌঁছন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং তাঁর দল। মঙ্গলবার ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি পটেলের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন তিনি। বৈঠকের যোগ দেওয়ার আগে নিয়মমাফিক করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল বিদেশমন্ত্রী-সহ ভারতীয় প্রতিনিধি দলের প্রত্যেকেরই। তাতেই ধরা পড়ে প্রতিনিধি দলের দুই সদস্যের করোনা সংক্রমণের কথা।
রিপোর্ট আসার পর বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর-সহ ভারতীয় প্রতিনিধিদের গোটা দলটিই নিজেদের গৃহবন্দি করেন। জয়শঙ্কর টুইটারে লেখেন, ‘সচেতনতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এবং বাকিদের কথা ভেবেই আমি ঠিক করেছি আমাদের আগামী সমস্ত কাজ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম থেকেই সম্পন্ন করব আমরা। একই পদ্ধতিতে যেগদান করব জি-৭ এর অন্যান্য বৈঠকেও’।
বৃহস্পতিবারই ব্রিটেনের বিদেশসচিব ডমিনিক রাবের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল জয়শঙ্করের। দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে কেন্ট-এর গ্রাম সেভেনিংয়ে সেই বৈঠক বসার কথা ছিল। সেই বৈঠকও ভার্চুয়াল ক্ষেত্রেই হবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত জি-৭ এর সদস্য দেশ নয়। জি-৭ এর সাতটি সদস্য দেশ হল কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, আমেরিকা এবং ব্রিটেন। তবু লন্ডনে আয়োজিত জি-৭ এর বৈঠকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের। করোনা অতিমারির পর এটাই প্রথম বৈঠক জি-৭ এর সদস্য দেশগুলির।
তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই বৈঠকে যোগ দেওয়া প্রত্যেক প্রতিনিধিকেই দৈনিক করোনা পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। প্রতি ঘণ্টায় ৫০ জন প্রতিনিধির করোনা পরীক্ষা করা যেতে পারে এমন ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে আয়োজকের তরফে। সেই পরীক্ষাতেই ভারতীয় প্রতিনিধি দলের দুই সদস্যের সংক্রমণ ধরা পড়ে।