মূলত করোনা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ মানসিক ভাবে সুস্থ আছেন কি না তা জানতেই সমীক্ষাটি চালানো হয়েছিল।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় দেশের বেসামাল হওয়াকে ভাল চোখে দেখছেন না অধিকাংশ ভারতীয়। দেশবাসীদের ৬১ শতাংশের মনে এ নিয়ে রাগ, ক্ষোভ, হতাশা রয়েছে। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় সামনে এসেছে এই তথ্য। তাতে স্পষ্ট, অতিমারি পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে দেশ যেখানে দাঁড়িয়ে এবং যে ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতি সামলাচ্ছে, তা নিয়ে একেবারেই খুশি নন এই ৬১ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া ৪৫ শতাংশ মনে করেন সংক্রমণ ঠেকাতে দেশ যে কৌশল নিয়েছে তা ভুল। ৫১ শতাংশের ভরসাই নেই দেশের করোনা বিশেষজ্ঞদের ক্ষমতার উপর।
সমীক্ষাটি চালিয়েছিল একটি বেসরকারি নাগরিক গবেষণা সংস্থা। নাম লোকাল সার্কলস। তাঁদের প্রশ্ন ছিল, দেশের অক্সিজেনের ঘাটতি, হাসপাতালে শয্যার অভাব, টিকার আকাল সংক্রান্ত পরিস্থিতি দেখে মানসিকভাবে তাঁরা কেমন বোধ করছেন। ৮১৪১ জন এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ২০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। ১০ শতাংশ সরকারের ভূমিকা এবং দেশের পরিস্থিতি নিয়ে অত্যন্ত রেগে আছেন। ২৩ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা উদ্বিগ্ন এবং ভীত। ৮ শতাংশ মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত বোধ করছেন। তবে এর মধ্যেও ২৮ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা এখনও আশাবাদী এবং ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে রয়েছেন। ৭ শতাংশ শান্তিতে এবং নিশ্চিন্তে রয়েছেন।
মূলত করোনা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ মানসিক ভাবে সুস্থ আছেন কি না তা জানতেই সমীক্ষাটি চালিয়েছিল লোকাল সার্কলস। তবে পাশাপাশি আরও দু’টি প্রশ্নও রাখা হয়েছিল। দ্বিতীয় প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছিল ভারত কি করোনা সংক্রমণের এই পরিস্থিতি সামলাতে সঠিক পন্থা নিয়েছে? এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ৮৩৬৭ জন। যাঁর মধ্যে ৪৫ শতাংশ মনে করেন কেন্দ্র করোনা পরিস্থিতি সামলাতে সঠিক দিশায় হাঁটছে না। ৪১ শতাংশ সরকারের পদক্ষেপে বিশ্বাসী। ১৪ শতাংশের এ বিষয়ে কোনও মতামত নেই।
সমীক্ষার তৃতীয় প্রশ্নটি ছিল দেশের করোনা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে। জানতে চাওয়া হয়, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বিভিন্ন প্রকারভেদকে সামলাতে দেশের করোনা বিশেষজ্ঞরা কতটা সক্ষম? এর জবাবে ২৮ শতাংশ ব্যক্তি জানিয়েছেন, দেশের বিশেষজ্ঞদের উপর ভরসা আছে তাঁদের। ২৫ শতাংশের ভরসা থাকলেও তা খুবই কম। ২৮ শতাংশের ভরসা নেই বললেই চলে। বাকি ২৩ শতাংশ মনে করেন ভারতের করোনা বিশেষজ্ঞদের এই নতুন নতুন করোনা প্রকারভেদকে সামলানোর ক্ষমতা নেই।