ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে কেজরীবাল। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
দিল্লিতেও ১৮ ঊর্ধ্ব সবাই বিনামূল্যে করোনা টিকা পাবেন। শনিবার থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের সার্বিক টিকাকরণ শুরু হচ্ছে দেশে। তার আগে সোমবার বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।
সোমবার দিল্লিতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেজরীবাল। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘১৮ ঊর্ধ্ব সবাইকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। আজ ১ কোটি ৩৪ লক্ষ টিকা কেনায় ছাড়পত্র দিয়েছি আমরা। যত শীঘ্র সম্ভব সেগুলি হাতে পাওয়ার এবং সকলকে দেওয়ার সব রকম চেষ্টা করব আমরা।’’
তবে কেজরীবালের এই ঘোষণা শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালগুলির জন্যই। একমাত্র সরকারি হাসপাতালেই বিনামূল্যে করোনার টিকা পাওয়া যাবে। বেসরকারি হাসপাতালে টিকা নিতে গেলে, টাকা দিয়েই কিনতে হবে।
তবে বিনামূল্যে টিকা বিতরণের ঘোষণা করে দিলেও সোমবার ফের এক বার টিকার দাম কমানোর জন্য উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে আবেদন জানান কেজরীবাল। তিনি বলেন, ‘‘টিকার প্রত্যেক ডোজের দাম ১৫০ টাকায় নামিয়ে আনতে উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে অনুরোধ করছি। লাভ ঘরে তোলার জন্য সারাজীবন পড়ে রয়েছে। অতিমারিতে যখন সব উজাড় হয়ে যাচ্ছে, তখন দাম বাড়ানো ঠিক নয়।’’ রাজ্যের ক্ষেত্রে টিকার দাম নির্দিষ্ট করে বেঁধে দিতে কেন্দ্রকেও আর্জি জানান কেজরীবাল।
টিকাকরণের জন্য ভারতে এই মুহূর্তে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন টিকা দু’টিই ব্যবহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে ১৫০ টাকায় টিকার ডোজ বিক্রি করলেও, রাজ্যের ক্ষেত্রে দাম অনেকটাই বেশি রেখেছে তারা। সিরাম ইনস্টিটিউট রাজ্যগুলিকে ৪০০ টাকা দরে কোভিশিল্ড বিক্রির ঘোষণা করেছে। বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে দাম বাড়িয়ে ৬০০ টাকা রাখা হয়েছে।
অন্য দিকে, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের এক একটি ডোজ কিনতে ৬০০ টাকা খরচ করতে হবে রাজ্যগুলিকে। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে খরচ করতে হবে ১২০০ টাকা। এর বিরোধিতা করেছেন কেজরীবাল। তাঁর কথায়, ‘‘এক সংস্থা বলছে রাজ্যকে ৪০০ টাকায় একটি ডোজ বিক্রি করবে তারা। দ্বিতীয় সংস্থা আবার একটি ডোজের দাম ৬০০ টাকা রেখেছে। অথচ দুই সংস্থাই কেন্দ্রকে ১৫০ টাকায় ডোজ বিক্রি করছে। রাজ্যের ক্ষেত্রেও এক দাম রাখা উচিত।’’