হাসপাতালে বিক্ষোভ রোগীদের। ছবি: সংগৃহীত।
যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে সরকারি কোভিড হাসপাতালে চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ তুললেন রোগীরা। শুধু তাই নয়, তাঁদের সঙ্গে ‘পশুর’ মতো আচরণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের কোটওয়া বাওয়ানিতে এক সরকারি হাসপাতালে এমনই অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দু’ঘণ্টা ধরে হাসপাতালে জল ছিল না। ফলে চরম হয়রানির শিকার হতে হয় রোগীদের। জল না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। হাসপাতালের বাইরে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।
রোগীদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে ‘পশু’র মতো আচরণ করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে রোগীদের সমস্বরে বলতে শোনা যায়, “আমাদের পশুতে পরিণত করেছেন ওঁরা। আমরা কি পশু? আমাদের কি জলের প্রয়োজন হয় না?”
হাসপাতালের খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রোগীরা। তাঁদের মধ্যে এক বয়স্ক রোগীর দাবি, “আমাদের ঠিক মতো খাবার দেওয়া হয় না। যদিও দেওয়া হয় সেগুলো আধ-সেদ্ধ।” প্রয়োজনে তাঁরা টাকা দিতেও রাজি। রোগীদের মধ্যে থেকে অনেকেই এমনও প্রস্তাবও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ৭৪৬৬, আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত উঠে এল ন’নম্বরে
আরও পড়ুন: চিনের পরিকল্পনা এ বার বহুমুখী, সঙ্ঘাত ছাপিয়ে যেতে পারে ডোকলামকেও
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে এক মহিলা রোগী বলেন, “আপনাদের যদি টাকা না থাকে আমাদের কাছ থেকে নিন।” পাশাপাশি হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন, এ রকম অব্যবস্থার মুখোমুখি হলে তাঁরা হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি চলে যাবেন। রোগীদের তোলা অব্যবস্থার অভিযোগ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুখ না খুললেও, জলের সমস্যা নিয়ে তাঁরা এক বিবৃতি জারি করেছেন। প্রয়াগরাজের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দাবি করেছেন, জলের সমস্যা ছিল ঠিকই। কিন্তু সেটা অল্প সময়ের মধ্যেই ঠিক করে ফেলা হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে এমন সমস্যা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “হাসপাতালে ওভারহেড ট্যাঙ্কে সব সময়ই জল মজুত থাকে। কিন্তু রোগীরা টাটকা জল ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। আমরা তাঁদের সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে দিয়েছি।”
এই প্রথম নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সরকারি কোভিড হাসপাতালগুলোতে চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছে আগেও। অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছে কোয়রান্টিন সেন্টারগুলোতেও। এটাওয়া এবং আগরা জেলা থেকে এমন বেশ কয়েকটি অভিযোগ সামনে এসেছে। কয়েকদিন আগেই হাসপাতালগুলোতে অব্যবস্থার ছবি সামনে আসায় সেখানে রোগীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু তার পরেও একের পর এক এ ধরনের ঘটনার ছবি সামনে আসায় চরম অস্বস্তিতে যোগী সরকার।