COVID-19

ফের দেশজোড়া লকডাউনই কি ভবিষ্যৎ? কোন রাজ্য এখন কতটা স্তব্ধ দেখে নিন

লকডাউনের সমর্থনে সওয়াল করছেন অনেকেই। প্রশ্ন, সংক্রমণ থামাতে যদি লকডাউন একমাত্র কার্যকরী উপায় হয়, তবে কেন সে পথে হাঁটছে না কেন্দ্র?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২১ ১৫:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

দ্বিতীয় দফাতেও কি পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে দেশ! সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে, তাতে ‘লকডাউন ২.০’ নিয়ে দাবি জোরালো হচ্ছে ক্রমশই। দেশে দৈনিক সংক্রমণ ৪ লক্ষ পেরিয়েছে ইতিমধ্যেই। দৈনিক মৃত্যুও ৪ হাজার ছুঁইছুঁই। প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কার থেকে দ্বিতীয় ঢেউ যে অনেক বেশি জোরালো, তা পরোক্ষে মেনে নিয়েছে কেন্দ্রও। এমনকি দেশে তৃতীয় ঢেউ আছ়়ড়ে পড়তে চলেছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞরা। ফলে দেশজোড়া লকডাউনের সমর্থনে সওয়াল করছেন অনেকেই। সংক্রমণের ধারাবাহিকতা থামাতে যদি লকডাউন একমাত্র কার্যকরী উপায় হয়, তবে দ্বিতীয় দফাতেও কেন সে পথে হাঁটছে না কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, এখনই লকডাউনের কথা ভাবা হচ্ছে না। তবে তিনি না ভাবলেও বিভিন্ন রাজ্যের আরোপিত নিয়ন্ত্রণের এই মুহূর্তে কার্যত পূর্ণ লকডাউন চলছে দেশের অর্ধেকেরও বেশি অংশে। স্তব্ধ ১৩টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। বাকি অংশে লকডাউন না হলেও জারি রয়েছে লকডাউনের মতোই কড়া নিয়ন্ত্রণ। কেথায় কতটা স্তব্ধ হয়েছে দেশ? কতটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে কোন রাজ্যে? দেখে নেওয়া যাক—

Advertisement

রাজধানী দিল্লিতে লকডাউন চলছে ১৯ এপ্রিল থেকেই। সম্প্রতি ওই লকডাউনের মেয়াদ ১০ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। একই ভাবে বিহার, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, কর্নাটক, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, কেরল এবং রাজস্থানও পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করেছে রাজস্থান সরকার। করোনা মোকাবিলায় ১০ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে সে রাজ্যে। শুধু তা-ই নয়, মে মাসের শেষ দিন পর্যন্ত রাজস্থানে কোনওরকম বিয়ের অনুষ্ঠানও করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজস্থান সরকার।

Advertisement

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

বৃহস্পতিবার কেরল সরকারও ৮ মে থেকে ৯ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে। অবশ্য তার আগে কেরলে লকডাউনের মতোই কড়া নিয়ন্ত্রণবিধি জারি করা হয়েছিল।

হিমাচল প্রদেশ বুধবার জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত ৯ দিনের লকডাউন পালন করবে তারা।

উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার অবশ্য পূর্ণ লকডাউন পালন করছে সপ্তাহান্তগুলিতে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তরপ্রদেশে সপ্তাহান্তিক লকডাউন চলছে। যা আগামী ১০ মে পর্যন্ত চলবে।

৩ মে থেকে গোটা রাজ্যে লকডাউন জারি করেছে হরিয়ানা, ওড়িশায় লকডাউন জারি করা হয়েছে ১৪ দিনের জন্য। এ ছা়ড়া কর্নাটকে ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১২ মে পর্যন্ত চলবে লকডাউন। ছত্তীসগঢ় আগে ৫ মে পর্যন্ত লকডাউন জারি করলেও তা ১৫ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গোয়ায় লকডাউন শেষ হয়েছে সোমবার তবে সেখানে এখনও জারি রয়েছে লকডাউনের মতো কড়া নিয়ন্ত্রণবিধি। দেশের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ যে রাজ্যে, সেই মহারাষ্ট্রে অবশ্য এখনও পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়নি। গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউনের মতো কড়া নিয়ন্ত্রণবিধি জারি রয়েছে সেখানে। যা বাড়ানো হয়েছে ১৫ মে পর্যন্ত।

পশ্চিমবঙ্গ, অসম, তামিলনাড়ুর মতো বেশ কিছু রাজ্য, যেখানে সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচন শেষ হল, সেখানে লকডাউনের মতো কড়া নিয়ন্ত্রণবিধি জারি করা হয়েছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সমস্ত পরিষেবা আংশিক খোলা রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে রেল পরিষেবাও। সংক্রমণের বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে উত্তরাখণ্ডও কড়া নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে রাজ্যে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement