প্রতীকী ছবি।
কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের একটি বিলাসবহুল হোটেল থেকে বৃহস্পতিবার এক দম্পতির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘর থেকেই উদ্ধার হয়েছে একটি চিঠি। তাতে লেখা, ‘‘আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন। দয়া করে আমাদের কন্যাকে এ বিষয়ে বিরক্ত করবেন না।’’
ঘটনাচক্রে, যে হোটেল থেকে দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই হোটেলেই বছর দুয়েক আগে তাঁদের কন্যার বিয়ের আসর বসেছিল। দিন কয়েক আগে ওই হোটেলেই এসে ওঠেন দম্পতি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দম্পতির নাম সুগঠন এবং সুনিয়া। ঘর থেকে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টের সময় হোটেলের এক কর্মী রুম সার্ভিসের জন্য গিয়েছিলেন। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। বার বার ডাকার পরেও সাড়া না পেয়ে তিনি হোটেল ম্যানেজারকে বিষয়টি জানান। এর পরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই দম্পতির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। পাশেই পড়ে ছিল একটি চিঠি। তাতে কন্যার বিয়ে এবং আর্থিক টানাপড়েনের কথাও উল্লেখ ছিল বলে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন। তবে এই মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করে যাননি দম্পতি।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই দম্পতিকে দেখে কোনও ভাবেই বোঝা যায়নি যে, তাঁরা প্রচণ্ড মানসিক চাপে রয়েছেন। মৃত্যুর আগেও তাঁরা ওনাম উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন। হোটেলে অন্য অতিথিদের সঙ্গে নাচগানও করেন তাঁরা। পুলিশ জানতে পেরেছে, আর্থিক ভাবে সচ্ছল ছিলেন দম্পতি। ওমানের রাজধানী মাসকটে একটি ব্যবসাও চালাতেন সুগঠন। কিন্তু বছর কয়েক আগে কেরলে ফিরে আসেন এবং করিপুর প্রকৃতি গার্ডেনে একটি দু’হাজার বর্গফুটের একটি বাড়ি কেনেন। কিন্তু কন্যার বিয়ের কারণে সেটি বিক্রি করতে হয়েছিল। তার পর ব্যবসাতেও মন্দা দেখা দেয়। সব মিলিয়ে আর্থিক সঙ্কট নেমে আসে দম্পতির জীবনে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, মানসিক অবসাদের কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন দম্পতি।