হিমাচলে ভূমিধস। ছবি: পিটিআই।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না হিমাচল প্রদেশের। বৃষ্টির তাণ্ডব থামলেও, ভূমিধসের ঘটনা ঘটেই চলেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৫ নম্বর জাতীয় সড়কে নেগুলসারির কাছে বিশাল ভূমিধস নামে। যার জেরে শিমলা এবং কিন্নৌরের মধ্যে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
ন্যাশনাল হাইওয়েজ় অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এনএইচএআই)-র এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কেএল সুমন জানিয়েছেন, জাতীয় সড়কের ৩০০ মিটার অংশ ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কিন্নৌর থেকে শিমলাগামী যানবাহনগুলি জাতীয় সড়কে আটকে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ধস পরিষ্কারের কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। দুই জেলার মধ্যে দ্রুত সংযোগ স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন এক প্রশাসনিক আধিকারিক।
গত জুন থেকে প্রকৃতির রোষে হিমালয়ের দুই রাজ্য হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে। প্রবল বৃষ্টি, বন্যা পরিস্থিতি এবং ধসের জেরে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে দুই রাজ্য। তবে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হিমাচলের। সেই ক্ষত এখনও সারিয়ে ওঠেনি হিমালয়ের এই রাজ্য। বৃষ্টির তাণ্ডবও কমে গিয়েছে। কিন্তু প্রতি দিন রাজ্যের কোথাও না কোথাও ধস নামছে। ইতিমধ্যেই ১৭ হাজার ১২০টি ধসপ্রবণ এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে ৬৭৫টি এলাকা অত্যন্ত বিপদসঙ্কুল বলে জানিয়েছে প্রশাসন। কিন্নৌরে যে ১৫টি ধসপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে নেগুলসারি একটি। এ ছাড়াও রয়েছে উর্নি ধাঁক, বাতসারি, নেসাং এবং পূর্বানি জুলহাকেও অত্যান্ত ধসপ্রবণ এলাকার তালিকায় রাখা হয়েছে।
হিমাচলে বর্ষার মরসুমে ধসের কারণে এ পর্যন্ত ১১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টি এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে জুন থেকে অগস্টের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬৩ জনের।