—প্রতীকী ছবি।
বন্ধ ঘর থেকে একই পরিবারের চার সদস্যের দেহ উদ্ধার হল। পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখে, সিলিং থেকে ঝুলছে চার জনের দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, চার জনই আত্মহত্যা করেছেন। তবে তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা সম্ভব হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
বুধবার সকালে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে চার জনের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানিয়েছে, বৃদ্ধ দম্পত্তি এবং তাদের দুই ছেলে বেশ কয়েক দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশা, কথাবার্তা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সেই অবসাদ থেকেই চরম পদক্ষেপ বেছে নিয়েছেন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
জানা গিয়েছে, বাড়ি মালিক মধুকর পাচোরি (৬৮) শিক্ষকতা করতেন। বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত। বাড়িতে তিনি ছাড়াও থাকতেন তাঁর স্ত্রী মালা এবং দুই ছেলে গণেশ ও দীপক। কেন তাঁরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন? সূত্রের খবর, পুলিশ ওই ফ্ল্যাট থেকে একটি নোট উদ্ধার করেছে। চলতি বছরের শুরুতে গণেশের নামে মধ্যপ্রদেশের পান্ধুরনা থানায় একটি প্রতারণা মামলা রুজু হয়েছিল। সেই মামলায় গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি। তাঁর গ্রেফতারির পর থেকেই মধুকরেরা চাপে ছিলেন তা ওই নোটে উল্লেখ ছিল বলে সূত্রের খবর। পুলিশের এক কর্তা জানান, ওই নোটে চার জনেরই স্বাক্ষর ছিল। পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।