coronavirus

সংক্রমণ ঠেকাতে জনতা কার্ফু মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৩৩

সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত যে সব এলাকায়, সেখানে সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙতে বিধি নিষেধের পথেই হাঁটছে প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২১ ১১:৫১
Share:

দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বেড়েছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। মহারাষ্ট্রে এই সংক্রমণ বেড়েছে সবথেকে বেশি। তা ঠেকাতে ইতিমধ্যেই সে রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে আংশিক লকডাউন জারি হয়েছে। সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত যে সব এলাকায়, সেখানে সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙতে বিধি নিষেধের পথেই হাঁটছে প্রশাসন। ঠাণে, নাসিক, অমরাবতী, যবতমলের মতো মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলাতেও ‘জনতা কার্ফু’ জারির সিদ্ধান্ত নিল সেখানকার প্রশাসন। এই পথে হেঁটে তামিলনাড়ু, পঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলিও এর আগে জনতার চালফেরায় বিধি নিষেধ এনেছে।

Advertisement

জলগাঁও জেলায় ১১ মার্চ রাত ৮ থেকে কার্যকর হবে জনতা কার্ফু। ১৫ মার্চ সকাল ৮টা অবধি জারি থাকবে তা। জরুরি পরিষেবা ছাড়া কেউ বাইরে বেরলো তার উপর কড়া নজরদারি চালানো হবে বলেও জানানো হয়েছে। মুম্বই এলাকাতেও বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। যার জন্য বিএমসি-এর তরফে দৈনিক করোনার পরীক্ষার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রতি প্রশাসনের সতর্কবার্তা— লকডাউন ফিরিয়ে আনতে না চাইলে কোভিড নিয়ম মেনে চলুন। অযথা রাস্তাঘাটে ভিড় বর্জন করুন।

মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৯২৭ জন। সেখানে দেশে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৯ হাজার ৯২১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ১ কোটি ১২ লক্ষ ৬২ হাজার ৭০৭ জন। মহারাষ্ট্র ছাড়া কেরলে রোজ আক্রান্ত হচ্ছেন আড়াই হাজারের কাছাকাছি মানুষ। বিগত ক’দিনে পঞ্জাবে তা এক হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কর্নাটক, তামিলনাড়ু, গুজরাতে তা ফের বেড়ে রোজ ৫০০ ছাড়াচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, হরিয়ানা এবং দিল্লিতেও গত ক’দিনে বেড়েছে সংক্রমণ।

Advertisement

দেশের দৈনিক সংক্রমণ বুধবার ফের ১০০ ছাড়িয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হল ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬৩ জনের। দেশে মৃত্যুর হার ১.৪ শতাংশ। তবে দৈনিক সুস্থের থেকে আক্রান্ত বেশি হওয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে বেড়েছিল সক্রিয় রোগী। কিন্তু গত দু’দিনে সুস্থ বেশি হওয়ায় সক্রিয় রোগী কমে ১ লক্ষ ৮৫ হাজারের নীচে নেমেছে। পাশাপাশি দেশে টিকাকরণও হচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে। প্রথম এবং দ্বিতীয় দফা মিলিয়ে ইতিমধ্যেই ২ কোটি ৪৩ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯০৬ কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ সবের মধ্যেও কয়েকটি রাজ্যের সংক্রমণ বৃদ্ধি বদলে দিচ্ছে দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতিকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement