হায়দরাবাদে চিকিৎসা চলছে আক্রান্ত সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের। ছবি: পিটিআই।
নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে এ বার আতঙ্ক ছড়াল কর্নাটকে। সোমবারই তেলঙ্গানার বাসিন্দা এক ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তার আগে তিনি বেঙ্গালুরুতে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাতেই উদ্বিগ্ন কর্নাটক প্রশাসন। বেঙ্গালুরুর যে এলাকায় ওই ব্যক্তি ছিলেন, সেখানে পৌঁছেছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। ওই এলাকার সমস্ত মানুষের উপর নজর রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকও ডেকেছে রাজ্য সরকার।
আদতে তেলঙ্গানার বাসিন্দা, বেঙ্গালুরুতে কর্মরত ২৪ বছর বয়সি এক সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের শরীরে সোমবার সংক্রমণ ধরা পড়ে। কর্মসূত্রে গতমাসে দুবাই যেতে হয়েছিল তাঁকে। সেখানে হংকং থেকে আসা কিছু মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। সেই সূত্রেই তাঁর শরীরে করোনা বাসা বেঁধেছে বলে ধারণা চিকিৎসকদের। সপ্তাহখানেক আগে বাসে করে বেঙ্গালুরু থেকে হায়দরাবাদের বাড়িতে ফেরেন তিনি। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান। তাতে কাজ না হওয়ায় রবিবার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল সেখানেই সংক্রমণ ধরা পড়ে তাঁর।
এতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে কর্নাটকে। এ নিয়ে সোমবার রাতেই টুইট করেন কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বি শ্রীরামুলু। তিনি লেখেন, ‘‘করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি বেঙ্গালুরু থেকেই গিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। বেঙ্গালুরুর যে এলাকায় তিনি ছিলেন, সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের শনাক্ত করা গিয়েছে। সকলের যত্ন নেওয়া হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: বিধ্বংসী মুকেশ, ১৩ বছর পর রঞ্জির ফাইনালে বাংলা
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরবেন কেন? নানা জল্পনা মোদীর টুইটে
করোনার প্রকোপে চিন-সহ গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই মৃত্যুসংখ্যা ৩০০০ ছাড়িয়েছে। ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে প্রথম তিনজনই কেরলের বাসিন্দা। চিকিৎসার পর আপাতত সুস্থ তাঁরা। তার পরই নতুন করে দু’জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলল। তাতে দেশের সর্বত্র উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এমনকি ভারতের যা জনসংখ্যা, তাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রশাসন। তবে তাঁদের কাছে উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকাঠামো রয়েছে, তাই চিন্তার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন বি শ্রীরামুলু।