বাড়ি ফিরতে দিল্লির আনন্দবিহার বাসস্ট্যান্ডে জমায়েত শ্রমিকদের। ছবি: পিটিআই
লকডাউনে সামাজিক দূরত্ব রক্ষার বিধি উড়িয়ে, গ্রামে ফেরার বাস ধরতে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের সীমানায় ভিড় জমিয়েছিলেন কয়েক লক্ষ শ্রমিক। ওই ঘটনায় এ বার কেন্দ্রের থেকে আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারের মধ্যে রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। আতঙ্কিত শ্রমিকদের এ ভাবে গণহারে গ্রামে ফিরে যাওয়া আরও বড় সমস্যার জন্ম দিতে পারে বলেও মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত।
করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন জারি হয়েছে। কিন্তু শনিবার দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের সীমানায় লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের জড়ো হওয়ার যে ছবি ছড়িয়ে পড়েছে তা দেখে শিউরে উঠছে গোটা দেশ। এর প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টে দুটি পৃথক জনস্বার্থ মামলা হয়। একটি মামলা করেন আইনজীবী অলখ অলক শ্রীবাস্তব। আরও একটি মামলা করেন আইনজীবী রশ্মি বনসল। সেই মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবডে ও বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও-এর বেঞ্চে। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে চলা শুনানিতে শীর্ষ আদালতের ওই বেঞ্চ শ্রমিকদের এ ভাবে জড়ো হওয়া নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করে বলে, ‘‘এটা করোনা ভাইরাসের থেকেও বড় ইস্যু।’’
শীর্ষ আদালত আরও জানিয়ে দেয়, সরকার ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে। তাই নতুন করে কোনও নির্দেশ দিয়ে ধোঁয়াশা বাড়াবে না সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: করোনা সাহায্যে হাত গুটিয়ে এঁরা অনেকে, দিলেনও অবশ্য অনেকেই
কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে পরিযায়ী শ্রমিকদের এ ভাবে বাড়ি ফেরা বন্ধ হওয়া উচিত। কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়েই এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে। মঙ্গলবার ফের ওই মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের কথা কি সরকারের মনেই ছিল না? না কি...
শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার ঘটনাকে সামনে রেখে রবিবারই রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। তাতে সমস্ত রাজ্যের সীমানা সিল করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দিল্লির আনন্দবিহার বাস টার্মিনাস ও গাজিয়াবাদ থেকে যে হাজার হাজার শ্রমিক উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের গ্রামে ফিরেছেন, তাঁদের ১৪ দিনের কোয়রান্টিনে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।