স্কুল-কলেজ খুললেও করোনা সংক্রমণ এড়াতে চূড়ান্ত সতর্কতা মেনে চলতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
অগস্টের পরই ফের খুলবে দেশের সমস্ত স্কুল-কলেজের দরজা। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ নিশঙ্ক পোখরিয়াল। তবে স্কুল-কলেজ খুললেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সমস্ত রকমের সাবধানতা যাতে মেনে চলা হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
করোনা রুখতে গত মার্চের মাঝামাঝি থেকে দেশের সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। দফায় দফায় লকডাউনের জেরে ফের কবে তা খুলবে, তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক-সহ দেশের ৩৩ কোটি পড়ুয়ারাও। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, জুলাইয়ের শেষে স্কুল-কলেজ খুলবে। তবে ৩ জুন একটি সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পোখরিয়াল স্পষ্টই জানিয়েছেন, অগস্টের পরই দেশের সমস্ত স্কুল-কলেজ খোলা হবে। এ নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট দিন ঘোষণা না করলেও পোখরিয়াল আরও জানিয়েছেন, সম্ভবত ১৫ অগস্টের পর সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে।
দেশ জুড়ে লকডাউনে শিথিলতার অঙ্গ হিসাবে ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ মেনে রেস্তরাঁ, সিনেমা হল বা ধর্মীয় স্থানগুলি খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ রাজ্যে শুরু করা হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থাও। তবে কবে স্কুল-কলেজের দরজা খুলবে, তা নিয়ে এত দিন স্পষ্ট নির্দেশিকা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। মে মাসের শেষে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, হয়তো জুলাইয়ের শেষে ৩০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলবে। সেই সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছিল, অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের বাড়ি থেকে পড়াশোনা চালাতে হবে। এবং গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি আগে খোলা হবে। তবে শেষমেশ ধাপে ধাপে তা খোলা হবে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানাননি পোখরিয়াল। তবে তিনি বলেন, “আগামী ১৫ অগস্টের মধ্যে সমস্ত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অর্থাৎ যে সমস্ত পরীক্ষা আগেই হয়ে গিয়েছে এবং যা এখন হচ্ছে, সেই সমস্ত পরীক্ষা রেজাল্ট।”
আরও পডুন: ফেরাল আট হাসপাতাল, বিনা চিকিৎসায় অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃত্যু অন্তঃসত্ত্বার
আরও পডুন: মোদীর সঙ্গে দেখা করে ‘সেলিব্রিটি ম্যানেজার’ হবেন, সোনু সুদকে কটাক্ষ শিবসেনার
যদিও স্কুল-কলেজ খুললেও করোনা সংক্রমণ এড়াতে চূড়ান্ত সতর্কতা মেনে চলতে হবে। একটি সূত্রের মতে, সংক্রমণ এড়াতে স্কুলের শিক্ষকদের মাস্ক এবং গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক করা হবে। সেই সঙ্গে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে স্কুল-কলেজ কর্তপক্ষকে। পাশাপাশি, পড়ুয়াদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজার রাখার কথাও বলা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে সরকারি ভাবে কোনও ঘোষণা করা হয়নি।