গাড়ি থেকে টাকা ও গহনা উদ্ধারের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
৭ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা? না কি ৫৫ লক্ষ? কত টাকা মিলেছিল দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত মধ্যপ্রদেশের পরিবহণ দফতরের প্রাক্তন কনস্টেবলের বাড়িতে? তদন্তকারী আধিকারিকদের বয়ানেই বা এত অসঙ্গতি কেন? লোকায়ুক্ত আধিকারিকদের তল্লাশি অভিযানকে ঘিরে এমনই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আদালতে জমা দেওয়া নথিতে বলা হয়েছে, ওই কনস্টেবলের বাড়ি থেকে নগদ ২৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের গহনা, ২১ লক্ষ টাকার রুপো-সহ মোট ৫৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। অথচ, এর আগে লোকায়ুক্তের তরফেই দাবি করা হয়েছিল, ওই বাড়ি থেকে ৭ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুই বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে, এমনটাই দাবি করেছে একটি বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা। তা ছাড়া, ঠিক কোথায় কোথায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল, তা-ও স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কনস্টেবলের নাম সৌরভ শর্মা। অথচ অভিযোগ, সৌরভের বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালালেও তাঁর সহকারীর বাড়িতে তল্লাশি চালাননি ইডি কিংবা লোকায়ুক্তের আধিকারিকেরা। এমনকি, সৌরভের দ্বিতীয় বাড়িটি মাত্র ১০০ মিটার দূরে হলেও সেখানে তল্লাশি চালানো হয়নি। এর পরেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে তদন্ত। যদিও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের দাবি, দুর্নীতি রুখতে সব সময়েই তৎপর ছিল তাঁর প্রশাসন। এ বারেও অভিযোগের ভিত্তিতে চেকপোস্টগুলিতে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরে ভোপালের বিভিন্ন জায়গায় যৌথ ভাবে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে আয়কর দফতর এবং লোকায়ুক্ত পুলিশ। প্রথম দফায় ভোপাল, গোয়ালিয়র ও জবলপুরের একাধিক স্থানে তল্লাশি চালানো হয়। এর পর ভোপাল ও ইনদওরের একটি ইমারতি সংস্থার ৫১টি ঠিকানায় তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। তার মাঝেই গত সপ্তাহে খবর আসে, ভোপালের কাছে একটি জঙ্গলে পরিত্যক্ত গাড়িতে নগদ টাকা রয়েছে। সেই খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা এবং ৫২ কেজি সোনা উদ্ধার করে আয়কর দফতর! এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানা যায়, তল্লাশি অভিযান চলাকালীন ওই গাড়িটিকে সৌরভের বাড়ির সামনে দিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, সৌরভের বিরুদ্ধে পরিবহন দফতরের পদে থাকাকালীন প্রায় ১০০ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে।