Coronavirus

আমদাবাদে আটকে বঙ্গের এক দল ছাত্র

গুজরাতের আমদাবাদ শহর থেকে অটোরিকশায় এক ঘণ্টার দূরত্বে কোলাটগাঁওয়ের একটি রিসর্টে প্রশিক্ষণে গিয়ে আটকে পড়েছেন শুভ দাসের মতো পশ্চিমবঙ্গের ২২-২৪ বছরের এক দল যুবক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২০ ০৫:২৬
Share:

লকডাউনে বন্ধ আমদাবাদের রাস্তা।—ছবি এএফপি।

রাজস্থানের কোটায় আটকে পড়া বঙ্গীয় ছাত্রছাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে বাসের ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে আটকে পড়া পড়ুয়াদের জন্য সেই ধরনের কোনও বন্দোবস্ত এখনও হয়নি। দিনে দু’‌বেলা ভাত আর ডাল পাওয়া যাচ্ছে। কোনও দিন সঙ্গে তরকারি। কোনও কোনও দিন তা-ও জুটছে না। এ ভাবেই দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন ওই পড়ুয়ারা।

Advertisement

গুজরাতের আমদাবাদ শহর থেকে অটোরিকশায় এক ঘণ্টার দূরত্বে কোলাটগাঁওয়ের একটি রিসর্টে প্রশিক্ষণে গিয়ে আটকে পড়েছেন শুভ দাসের মতো পশ্চিমবঙ্গের ২২-২৪ বছরের এক দল যুবক। হোটেলের কর্মীদের থাকার ঘরে তাঁরা কার্যত বন্দি। বাইরে বেরোনোর উপায় নেই। তাঁদের আধার কার্ডের নম্বর নিয়ে রাজ্যে ফেরার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরে প্রায় এক মাসেও কিছু হয়নি।

কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা শুভ জানান, জানুয়ারিতে হোটেল ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে ছ’মাসের প্রশিক্ষণের জন্য তাঁদের গুজরাতে পাঠানো হয়েছিল। সাত জন গিয়েছিলেন। লকডাউন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এক জন ট্রেনে ফিরে আসেন। বাকি ছ’জন রয়ে যান। শুভ বলেন, ‘‘এই হোটেলে এখন আমরা প্রায় ২৪ জন বাঙালি আটকে আছি। অন্যেরা আমাদের আগেই এসেছেন প্রশিক্ষণে। কেউ কেউ চাকরিও করেন এখানে।’’ লকডাউনের প্রথম পর্বের পরে বাড়ি ফেরার জন্য শুভরা বিমানের টিকিটও কেটেছিলেন। কিন্তু লকডাউনের দ্বিতীয় পর্ব ঘোষণার পরে সব বাতিল হয়ে যায়। টাকাও আটকে গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement