ছবি: সংগৃহীত।
লকডাউনের জেরে প্রথমেই সঙ্কটে পড়েছিল বিমান সংস্থাগুলি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সেই বিমান ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করার জন্য তিন দফা ঘোষণা করলেও, বিমান সংস্থার কর্ণধারেরা হতাশ। অর্থমন্ত্রী বিমান ক্ষেত্রের জন্য কোনও আর্থিক সুরাহা না দেওয়ায় বিমান ক্ষেত্রের আশঙ্কা, লকডাউনের ধাক্কা সামলাতে না পেরে দু’তিনটি বিমান সংস্থা খাদের ধারে পৌঁছে যাবে।
আজ অর্থমন্ত্রী ভারতের আকাশপথ আরও বেশি করে খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তাঁর যুক্তি, ভারতের আকাশপথের মাত্র ৬০ শতাংশ বেসরকারি বিমান পরিষেবার জন্য খোলা রয়েছে। বাকিটা সামরিক প্রয়োজনে বন্ধ। আরও আকাশপথ খুললে রুটের দৈর্ঘ্য কমবে। যাত্রার সময় ও জ্বালানি বাঁচবে। বেসরকারিকরণের জন্য আরও ছ’টি বিমানবন্দর নিলামে তোলা হবে। আগের নিলামে ১২টি বিমানবন্দরে ১৩ হাজার কোটি টাকা লগ্নি হয়েছে। এর থেকে এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ ২,৩০০ কোটি টাকা লাভ করবে।
দেশে বিমানের মেরামতি, রক্ষণাবেক্ষণ শিল্পের কেন্দ্র তৈরির জন্য জিএসটি কমানোর কথাও ঘোষণা হয়েছে। স্পাইস জেটের কর্ণধার অজয় সিংহর মতে, ‘‘বিমান মেরামতির আন্তর্জাতিক কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত স্বাগত। আশা করব, বাস্তবে এর রূপায়ণ হবে। তা হলে বিমান সংস্থাগুলির অর্থ সাশ্রয় হবে। তার থেকেও বেশি আশা করব, বিমান ক্ষেত্রের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ কোনও প্যাকেজ ঘোষণা হবে।’’
আরও পড়ুন: দেশের আশি শতাংশ রোগীই ৩০ পুরসভায়
আরও পড়ুন: রামপুকার ফিরেছেন, ছেলেটা বেঁচে নেই
নতুন ভাবনা
• দেশের আকাশপথ ব্যবহারের বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। লক্ষ্য, বছরে ১০০০ কোটি টাকা খরচ কমানো।
• আরও ছ’টি বিমানবন্দরের পরিচালন ব্যবস্থা বেসরকারি সংস্থার হাতে।
• বিদেশি সংস্থাকে নিয়ে এসে ভারতকে বিমান মেরামতির আন্তর্জাতিক তালুক বানানো। কমানো হবে কর।
বিমান ক্ষেত্রের বক্তব্য, আকাশপথ আরও খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা বহু বছর ধরে চলছে। কবে তার রূপায়ণ হবে, কেউ জানে না। বিমানবন্দর বেসরকারিকরণ ও বিমান মেরামতিতে জিএসটি কমানো পুরনো সিদ্ধান্ত। বিমান সংস্থাগুলির দাবি ছিল, আপাতত সুরাহা দিতে সরকার জ্বালানিতে করের বোঝা কমিয়ে দিক। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পার্কিং-এর জন্য যে ফি আদায় করে, লকডাউন পর্বে তা মকুব করা হোক। অন্য ক্ষেত্রেও কর ছাড় দেওয়া হোক। কর্মীদের বেতন দিতে নগদ সুরাহা বা সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত ঋণের বন্দোবস্ত হোক। কিন্তু সরকার সে পথে হাঁটেনি। ইজ়মাইট্রিপ-এর চেয়ারম্যান ও সিইও নিশান্ত পিট্টি বলেন, ‘‘বিমান ক্ষেত্রের জন্য কর ছাড় ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের ফি মকুব করা দরকার ছিল। যাতে খরচ কমে। বিমান ক্ষেত্র অক্ষত থাকলে, সব বিমান সংস্থা জীবিত থাকলে দীর্ঘ মেয়াদে সরকারেরই লাভ।’’