লকডাউনে কাজ হয়নি, সরকারের নতুন পরিকল্পনা কী, প্রশ্ন তুললেন রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র
চার দফার লকডাউন। তার পরেও সংক্রমণ বন্ধ হয়নি। বরং এখনও প্রতি দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই নিয়েই এ বার প্রশ্ন তুললেন রাহুল গাঁধী। লকডাউন ফর্মুলা ‘ব্যর্থ’ হয়েছে দাবি করে কংগ্রেস সাংসদ রাহুলের প্রশ্ন, করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় কেন্দ্রের এ বারের পরিকল্পনা কী? কেন্দ্র যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তারও সমালোচনা করেছেন রাহুল।
মার্চের শেষ সপ্তাহে যখন লকডাউন শুরু হয়েছিল, তখন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫০০-র মতো। তার পর থেকে চার দফায় দু’মাসেরও বেশি লকডাউন চলেছে দেশে। কিন্তু করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। রাহুল গাঁধীর মতে, লকডাউনে কার্যত কোনও লাভ হয়নি। সোমবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গাঁধী বলেন, ‘‘আক্রান্তের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যা আশা করেছিলেন, চার দফার লকডাউনে তা হয়নি। সরকারের পরবর্তী পরিকল্পনা কী?’’
২০ এপ্রিলের পর থেকে ধাপে ধাপে দেশে লকডাউন শিথিল করা শুরু হয়েছে। পুরোপুরি লকডাউন তোলার বিষয়েই বা কেন্দ্র কী ভাবছে, সেই বিষয়ে জানতে চেয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল, ‘‘দেশে লকডাউন তোলার কৌশল কী? এই রোগ রুখতে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করব? পরিযায়ী শ্রমিকদের কী ভাবে সাহায্য করবে সরকার? রাজ্য সরকার বা ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অতিক্ষুদ্র শিল্পকেই বা কী ভাবে সাহায্য করবে?’’ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ভারতই একমাত্র দেশ, যেখানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধির মধ্যেই লকডাউন তুলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা শঙ্কা বেড়েই চলেছে, মোট আক্রান্ত এক লক্ষ ৪৫ হাজার, মৃত ৪১৬৭
করোনাভাইরাস ও লকডাউন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর পাঁচ দিন ধরে পাঁচ দফায় সেই প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। প্রধানমন্ত্রীর দাবি ছিল, সেই প্যাকেজ দেশের জিডিপি-র ১০ শতাংশ। কিন্তু কংগ্রেস সাংসদ রাহুলের দাবি, ১০ শতাংশ নয়, ওই প্যাকেজ জিডিপির ১ শতাংশেরও কম। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন জিডিপির ১০ শতাংশ প্যাকেজ। কিন্তু বাস্তব হল, ওই প্যাকেজ জিডিপির এক শতাংশেরও কম। সেটাও আবার অধিকাংশই ঋণ হিসেবে দেওয়ার বন্দোবস্ত হয়েছে। নগদ টাকা দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা হয়নি।’’
আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৪ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৯৩
রাহুলের আরও দাবি, কংগ্রেসশাসিত রাজ্যগুলিতে সাধারণ মানুষকে নগদ অর্থসাহায্য করা হচ্ছে। কেন্দ্রের সাহায্যও চাই।